রাবি প্রতিনিধি:
অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি চলমান আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সোমবার (২৪ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান তাঁরা।
এবিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও নিম্নোক্ত কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানান তাঁরা।
১. আগামী ২৬ ও ২৭ জুন ২০২৪ অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালিত হবে। পরীক্ষাসমূহ কর্মবিরতির আওতামুক্ত:
২. ৩০ জুন ২০২৪ পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে। স্থান: শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনের সামনে। (পরীক্ষাসমূহ কর্মবিরতির আওতামুক্ত)
৩. ১লা জুলাই ২০২৪ তারিখ থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে।
প্রজ্ঞাপন জারি করার পর থেকে শিক্ষকরা অদ্যাবধি নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। শিক্ষার্থীদের ক্লাস, পরীক্ষা কোনোভাবেই যেন বিঘ্নিত না হয়, সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অনেকটা প্রতীকী কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে এ বিষয়ে সরকারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণের সব ধরনের চেষ্টা করা হয়েছে। বিবৃতি প্রদান, মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচির মত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হলেও এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে কোনো ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। শিক্ষকদের সাথে দায়িত্বশীল কোনো পক্ষ যোগাযোগও করেননি।
এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-সমাজের মধ্যে চরম হতাশা এবং ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রস্তাবিত ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাস্তবায়ন হলে বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা আগামী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মত মহান পেশায় আসতে আগ্রহী, তাঁরাই এর ভুক্তভোগী হবেন। কাজেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির চলমান আন্দোলন আগামী দিনের তরুণ সমাজের স্বার্থরক্ষা তথা উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের চক্রান্তের বিরুদ্ধে।
সেখানে আরো বলা হয়েছে, আমরা এখনও আশা করি শিক্ষক সমাজকে যারা সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছেন তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। অন্যথায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির চলমান প্রতীকী কর্মসূচি সর্বাত্মক আন্দোলনে পরিণত হবে।
ইএইচ/
মন্তব্য করুন