এডুকেশন টাইমস ডেস্ক:
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। এতে আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থীসহ জেলা ছাত্রলীগের এক নেতা আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শহরের জেলা ও দায়রা জজের বাসভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগের আহত নেতার নাম রবিউল আলম ওরফে রবিন। তিনি জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তবে আহত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টা পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করে মিছিল বের করেন সেখানে। আন্দোলনকারী অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরাও ওই মিছিলে এসে যোগ দেন।
এদিকে ছাত্রলীগের একটি দল মোটরসাইকেলে লাঠিসোঁটা, কাঠের টুকরা ও বইঠা নিয়ে কলেজের সামনের সড়ক, লেভেল ক্রসিং এলাকা, নিউ মৌড়াইল ও কাউতলী এলাকায় মো. মহড়া দেয়। তারা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে আসতে বাধা দেয়। এ সময় তারা বিভিন্ন সড়কে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শহরের কাউতলী মোড় থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে আবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কিছু শিক্ষার্থীর হাতে বাঁশ ছিল। জেলা ও দায়রা জজের বাসভবনের সামনে পৌঁছালে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলমসহ কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা চড়াও হলে ছাত্রলীগের নেতা রবিউল আহত হন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ফারহানা শারমিন বলেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের ব্যানার টেনে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছে। আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেওয়া শুরু করেছে। এই দেশে সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বারবার কথা হয়। কোথায় গেল এসব।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কোনো বাধা দিইনি। তাদের কোনো দাবি থাকলে তা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দিতে বলেছি। তাদের পানিসহ খাবার দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়ে খোঁজ নেবেন তাঁরা। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাটি তদন্তের বিষয়। শহরের বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ইএইচ/
মন্তব্য করুন