এডুকেশন টাইমস ডেস্ক:
নয় (৯) দফা দাবিতে সারাদেশে সোমবার (২৯ জুলাই) বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রোববার (২৮ জুলাই) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ও ছাত্রলীগের আক্রমনে নিহত শত শত শহীদের আত্মত্যাগ তিরস্কার করে ডিবি কার্যালয়ে বন্দুকের নলের মুখে জিম্মি করে সমন্বয়কদের মাধ্যমে জোরপূর্বক স্ক্রিপ্টেড বিবৃতি আদায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমাদের দাবী আদায়ে আমরা অবিচল ছিলাম, রয়েছি এবং থাকবো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বিগত কয়েকদিন যাবত গণহত্যা, গণগ্রেফতারের পর সরকার এখন এক নতুন নাটকের সৃষ্টি করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের তুলে নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে জিম্মি করে অস্ত্রের মুখে স্ক্রিপ্টেড বিবৃতি দিয়ে, ছাত্রসমাজের দাবিসমূহের প্রতি সরকার চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছে। শুধু তাই নয়, সারাদেশে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত শহীদদের পরিবারকে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে, আর্মড ফোর্সকে ব্যবহার করে ঢাকায় এনে সরকার তাদের থেকে মিথ্যা জবানবন্দি নেওয়া ও সমস্ত দায় আন্দোলনকারীদের উপর চাপিয়ে শহীদের রক্তের সাথে তামাশা করেছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ছাত্রসমাজ শহীদের রক্তের সাথে বেইমানী করতে পারে না।
দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যাপক হত্যাযজ্ঞের পর সরকার সারাদেশে রেইড করে গণগ্রেফতার করেছে। হাজার হাজার মামলা ও গ্রেফতার করা হচ্ছে। জানালার পাশে পড়ার সময় কোমলমতি শিশু সামিরকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর স্মরণকালের সবচেয়ে বড় বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে। এমনকি স্কুল ও কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়ে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে আহত ও শহীদ করা হয়েছে। এই অবস্থায় আমরা কঠোর ভাষায় বলতে চাই, আমাদের দাবী আদায় না হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ছাত্রসমাজের আন্দোলন চলবে।
উল্লেখ্য, প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে দাবী আদায়ের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করতে বাংলাদেশের সকল নাগরিককে অনুরোধ জানানো হয়।
ইএইচ/
মন্তব্য করুন