শাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
সিলেটের শিক্ষার্থীরা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) প্রধান ফটকে জমায়েত হতে চাইলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে সেই জমায়ের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় একজনকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে তারা আবার একত্রিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সুরমা গেইট এলাকায় কর্মসূচি পালন করেন।
আটককৃত সাঈদুর মিয়া (১৭ ) ওসমানীনগরের বুরঙ্গা গ্রামের ফজল মিয়া ছেলে। তিনি বুরঙ্গা ইকবাল আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বেলা ৩টা ২০ মিনিটের সময় সুনামগঞ্জ রোডের দিকে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে পুলিশ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের পুর্বনির্ধারিত কর্মসুচি ‘রিমেম্বারিং আওর হিরোস’ কে ঘিরে সতর্ক অবস্থানে ছিল পুলিশ। বেলা ৩টা ২০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সুনামগঞ্জ রোডের দিকে কিছু শিক্ষার্থী একত্রিত হতে চাইলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদের কুমারগাও বাসস্টেন্ড এলাকায় নিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এরপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শবর্তী এলাকা সুরমা গেইটের সামনে রাস্তার একপাশ অবরোধ করে রাখে। বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিট (রিপোর্ট) লিখা পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলছে। এসময় প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাশী জমায়েত হয়ে হয়ে কর্মসূচি পালন করে।
এ বিষয়ে শাবিপ্রবির অন্যতম সমন্বয়ক ফয়সাল হোসেন বলেন, আমাদের পুর্বনির্ধারিত কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইটে পালন করতে চেয়েছিলাম। তবে পুলিশ আমাদের আমাদের কিছু ভাইদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। তবে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলে সুরমা আবাসিক এলাকায় আমাদের কর্মসূচি পালন করেছি।
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (গোয়েন্দা) তাহিয়াত আহমদ চৌধুরি বলেন, মিছিল থেকে আমরা একজনকে আটক করেছি। থাকে থানায় পাঠানো হবে। তার ফ্যামিলি থানায় আসলে পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন ওসি। যেহেতু তার বয়স কম আশা করছি থাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কর্মসুচি ‘রিমেম্বারিং আওর হিরোস’ এর সাথে একাত্মতা পূষণ করে শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটকে শিক্ষার্থীদের জন্য অপেক্ষা করে। তবে শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ে আসতে না পারায় শিক্ষকরা প্রধান ফটকে কিছুক্ষন অবস্থান কর্মসূচি করে।
এসময় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাদিয়া হক বলেন, এই দেশ আমার দেশ না। আমার শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবি আদায়ে আন্দোলন করছে। সেখানে পুলিশ নির্বিচারে গুলি করছে ও তাদের শান্তিপুর্ন কর্মসুচিতে বাধা দিচ্ছে। যা সম্পুর্ণ গণতন্ত্র বহির্ভূত।
ইএইচ/
মন্তব্য করুন