জাবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ-ভারত অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত ও উজানে বাঁধ বন্ধ করা এবং দাসত্বমূলক সকল চুক্তি বাতিল করাসহ ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট) রাত সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক ঘুরে বটতলা এলাকায় গিয়ে শেষ হয় এবং সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।
সমাবেশে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়াম বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারকে বাংলাদেশ থেকে উৎখাত করলেও এখনো ভারতীয় অগ্রাসন বাংলাদেশে চলমান। শেখ হাসিনা সরকার যেভাবে ভারতকে শুধু দুইহাত দিয়ে গেছে, সে দিন আর নাই। পাকিস্থান, চীন, মায়ানমার ও শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশও ভারতের বন্ধু দেশ থাকবে না, যদি অনতিবিলম্বে সকল অন্যায্য চুক্তি বাতিল করা না হয়।
ভারতীয় ফান্ডে জাবিতে নির্মাণাধীন চারুকলা ভবনের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, যে ভারত আমাদের ফেলানীকে হত্যা করেছে, সীমান্তে মানুষ হত্যা করে এবং বাধ খুলে বালাদেশের মানুষকে প্লাবিত করে সেই দেশের ফান্ডে জাবিতে কোনো ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ভারত-বাংলাদেশের যৌথ ৫৪টা আন্তর্জাতিক নদীর বেশিরভাগ নদীতেই অবৈধ বাঁধ দিয়ে একদিকে যেমন গ্রীষ্মকালে পানি বন্ধ করে খরার সৃষ্টি করে অন্যদিকে বর্ষাকালে বাধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে বন্যার পানিতে প্লাবিত করে। এছাড়াও গত ১৬ বছরে ভারত বাংলাদেশকে তাদের অঙ্গরাজ্য ও বাজারে পরিণত করেছে। এখনই সময় এসেছে ভারতীয় এ সকল আগ্রাসন রুখে দেওয়ার।
প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, যৌথভাবে থাকা নদীগুলোতে বাঁধ দিয়ে ভারত বাংলাদেশকে শাসন করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশকে বন্যার পানিতে এভাবে অস্থিতিশীল করলে ভারতকেও স্থিতিশীল থাকতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করলে ভারতের সেভেন সিস্টারকে অস্থিতিশীল করে তোলা হবে ।
এসএস/
মন্তব্য করুন