তাহ্সীন আজাদ : বন্যাদুর্গত মানুষের সাহায্যে বাংলাদেশ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের “গণত্রান সংগ্রহ কর্মসূচি” চলমান ছিল আজও। এই সময়ে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের সামনে ত্রান সংগ্রহ করতে গেলে এক অনন্য নজির সৃষ্টি করে দ্বিতীয় শ্রেণির সৃষ্টি এবং চতুর্থ শ্রেণির ঈসা।
শিক্ষার্থীদের থেকে জানতে পারা যায় – আজকে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এর গেইট নং ১ থেকে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির বন্যার্তদের জন্য গণত্রান সংগ্রহ কর্মসূচির ফান্ডে দ্বিতীয় শ্রেনীর সৃষ্টি তার জমানো অর্থসহ মাটির ব্যাংকটি দান করে। উক্ত মাটির ব্যাংকটি মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আতিক হাসান অহন গ্রহণ করে। উক্ত বিষয়ে তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান – ‘আমার হাতে পাওয়া বেস্ট ডোনেশন এটা। একদিন এরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করবে। সৃষ্টিকর্তা যেন সৃষ্টির দান কবুল করে নেন এবং আমাদের প্রত্যেককে সৃষ্টির মত মানবিক হওয়ার তওফিক দান করেন৷ ‘
শিক্ষার্থীদের থেকে জানতে পারা যায় সৃষ্টির মাটির ব্যাংকটিতে প্রায় দুই হাজার টাকা ছিল এবং তার দাদু বাড়ি এবং নানু বাড়ি ফেনী হওয়ায় বন্যাদুর্গত মানুষের কষ্ট সে বুঝতে পারে।
একইদিনে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ঈসাও এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে বন্যার্তদের জন্য। এ বিষয়ে মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আতিক হাসান অহন বলেন- ‘ সময়টা তখন ১২:৪০ এর একটু বেশি। স্কুল ছুটি হয়েছে। বাসায় নেয়ার জন্য বাবা আসবেন বলে চতুর্থ শ্রেণি ঈদা অপেক্ষা করছে দাড়িয়ে। স্কুলের সামনেই আমরা দাড়িয়ে ছিলাম ফান্ড কালেক্ট করবার জন্য।অনেকেই তাদের নগদ অর্থ ও শুকনো খাবার দিয়ে যাচ্ছে। ঈসার বাবার আসতে আধ ঘন্টার একটু বেশিই লাগবে। তাই কৌতূহল থেকেই সে আমাদের সাথে কথা বলছিল, বিভিন্ন গল্প করছিল এবং জানছিল আমরা সেখানে কি করছি আর এই জিনিসগুলো দিয়েই বা কি করবো আমরা।আমাদের কাছে শোনা বানভাসি মানুষের কথা তার হৃদয়েও দাগ কাটে। তার ভেতর থেকে আসে সহমর্মিতা এবং কিছু করার ইচ্ছে। সে নিজ থেকেই বলে বসে-ভাইয়া একটু আপনাদের সাথে দাড়াই?
অত:পর তার বাবা আসার আগ পর্যন্তই সে আমাদের সাথেই ডোনেশন সংগ্রহ করে।তাকে কিছুসময় পর পর চেয়ারে বসতে বলা হলে বা বক্স অন্য কাওকে দিতে বলা হলে, বা তার কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চাওয়া হলেও, তার ইচ্ছে শক্তির কাছে এসবই ছিল তুচ্ছ। ‘
বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তায় মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণত্রান সংগ্রহ কর্মসূচি আজও চলমান ছিল। শেষ খবর পাওয়া ওবদি শিক্ষার্থীরা মোট ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা সংগ্রহ করেছে।
এসএস/
মন্তব্য করুন