জাককানইবি প্রতিনিধি: উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢল এবং ফেনীর মুহুরী নদীর উপর নির্মিত ভারতীয় ডম্বুর বাঁধ খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের ১০ টি জেলার প্রায় ১০ লাখ মানুষ বন্যা কবলিত।এতে প্রয়োজনীয় খাদ্য এবং বিশুদ্ধ পানির অভাবে নানামুখী সংকটে পড়েছে বানভাসিরা। এসব বন্যা কবলিত এলাকায় বানভাসী মানুষের পাশে ত্রাণ নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন। নিজের সামর্থ অনুযায়ী কেউ দিচ্ছেন নগদ টাকা, পোশাক,খাদ্য সামগ্রী কেউবা দিচ্ছেন নিজেদের চাকুরির ১ দিনের বেতন। এসব সংগৃহীত সামগ্রী নিয়ে বন্যা কবলিত মানুষদের জন্য ছুটে চলেছে একের পর এক ত্রাণের বহর নিয়ে। তারই ধারাবাহিকতা ধরে বানভাসি মানুষদের পাশে দাড়িয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। বন্যা কবলিত এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুন বাসে একের পর এক ত্রাণ নিয়ে নোয়াখালী,ফেনী,কুমিল্লা,চাঁদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ নিয়ে ছুটে যাচ্ছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। গত ২৫ আগস্ট প্রথম ধাপে ২০০ পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার পর এবার দ্বিতীয় ধাপে প্রায় ১ হাজার পরিবারকে সহায়তার জন্য গতকাল ২৭ আগস্ট রাত ২টার সময় বিশ্ববিদ্যালের বাসে করে বন্যা কবলিত এলাকার উদ্দোশে রওনা দেয়।
ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, দেশের যেকোনো দূযোগে এর আগেও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার অতীতে সবার পাশে ছিল এখন ও আছে এবং ভবিষ্যতে ও থাকবে। আমারা দেশের চলমান এই বর্ন্যা পরিস্থিতিতে বর্ন্যাতদের সহায়তায় ১ম ধাপে প্রায় ২০০ পরিবারকে ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করেছি এবং আজকে প্রায় ১ হাজার পরিবারকে সহায়তা করা হবে। এতে রয়েছে খেজুর,মুড়ি,চিনি,লবন,পানি সহ এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় শুকনো খাদ্যের পাশাপাশি নারী,পুরুষ ও শিশুদের জন্য পোশাক। বন্যার্তদের পাশে নিজেদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় দাঁড়াতে পেরে আমরা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার গর্বিত এবং ভবিষ্যতেও দেশের যেকোনো দূর্যোগে আমাদের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
ভারতীয় পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ভারতের ছেড়ে দেওয়া পানিতে আমাদের দেশের ১০ টি জেলার প্রায় ৪০ লাখ মানুষেকে নির্যাতন করেছে। একের পর এক বাঁধ খুলে আমার দেশের মানুষদেরকে মেরে ফেলা হচ্ছে। আমরা অবলম্বে ভারতের একপেশিয়ে পানি প্রত্যাহার এবং বর্ষার সময় বাঁধ ছেড়ে ডুবিয়ে মারার তিব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবলম্বে এর একটি সুরাহা চাই।
উল্লেখ্য যে ত্রাণ পৌঁছে দিতে গতকাল সকাল থেকেই শুরু হয় প্যাকেজিং কার্যক্রম। এরপর তা শেষ হতে রাত প্রায় ১ টা বাজে। প্যাকেটিং কার্যক্রম শেষে গতকাল রাত ২ টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বাসে প্রায় ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও শুকনো কাপড় নিয়ে যাত্রা শুরু করে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে প্রথম ধাপে বিতরণ করা ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ছিল প্রায় ২০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, প্রয়োজনীয় মেডিসিন, স্যানিটারি ন্যাপকিন, বিশুদ্ধ পানি ও প্রয়োজনীয় শুকনো কাপড়।
এসএস/
মন্তব্য করুন