শাবিপ্রবি প্রতিনিধি: প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) সনাতন ধর্মের শিক্ষার্থীরা মন্দির নির্মাণ করছেন বলে জানা যায়। তবে অনুমতি না নিয়েই মন্দির নির্মাণ করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কাজে বাধা দিয়েছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের পাশে মাটি খুড়ে ইট, বালি ও সিমেন্ট নিয়ে মন্দির নির্মাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মের একদল শিক্ষার্থী।
মন্দির বানাতে প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের (২০১৮-১৯ সেশন) শিক্ষার্থী শ্রী দিপুরাম রায় গণমাধ্যমে বলেন, আমরা অনেকবার প্রশাসনের অনুমতি চেয়েছি। প্রশাসন আমাদের অনুমতি দেয়নি। ২০১৪ সালে তৎকালীন ভিসি আমাদের মন্দিরের জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তবে মন্দির বানানোর কোনো অনুমতি এখন পর্যন্ত পাইনি।
তিনি আরো বলেন, আমরা ২০২৩ সালেও মন্দির বানানোর জন্য মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছি। প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত অনুমতি দেয়নি।
মন্দির নির্মাণের ফান্ড বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা নিজেদের পক্ষ থেকে অর্থ দিয়ে এটা বানানোর কাজ শুরু করেছি।
প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কিছু বানানো যায় না এ প্রশ্নের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমরা অনুমতি চেয়েছি। কিন্তু পাইনি। তাই প্রার্থনা করার জন্য অস্থায়ী একটি বসার জায়গা বানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বরত অধ্যাপক ড. সৈয়দ বদিউজ্জামান ফারুক বলেন, প্রশাসনের কাছ থেকে তারা কোনো অনুমতি নেয়নি। তাদের তাৎক্ষণিক ডাকা হয়েছে এবং মন্দির বানানোর কাজ বন্ধের জন্য বলা হয়েছে। তারা দুই ঘণ্টা সময় নিয়েছে। এর মধ্যে বন্ধ না হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের প্রার্থনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অস্থায়ী ভিত্তিতে ইউনিভার্সিটি সেন্টারের (ইউসি) নিচ তলায় একটি রুম বরাদ্দ দিয়েছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, যদি তাদের মন্দির নির্মান প্রয়োজন হয় তাহলে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে যেতে হবে। প্রশাসনের অনুমতি ব্যাতিত মন্দির নির্মাণ করে তারা আসলে একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে চেষ্টা করছে।
এসএস/
মন্তব্য করুন