সিকৃবি প্রতিনিধি: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মাঝে শল্যচিকিৎসার যন্ত্রপাতি সম্বলিত বক্স বিতরন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারী ও থেরিওজেনোলজি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মোট ১০৫ জন শিক্ষার্থীর মাঝে এই কিটবক্স বিতরণ করা হয়।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদ ভবন-২ এর সম্মেলন কক্ষে সার্জিক্যাল কিটবক্স বিতরন অনুষ্ঠান-২০২৪ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের এ কিটবক্স প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সার্জারি ও থেরিওজেনোলজি বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন মোঃ সোহানুর রহমান। কিটবক্স প্রদান পরবর্তীতে টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
সার্জারি ও থেরিওজেনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. অনিমেষ চন্দ্র রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য (অ. দা.) অধ্যাপক ড. মো: ছিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, কিটবক্স দেয়ার উদ্দেশ্য শুধু সার্জারির যন্ত্রপাতি ব্যাগে রাখাই নয় বরং এগুলোর সফল ও যথাযত ব্যাবহার, ভেটেরিনারিয়ানদের তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে প্রাণী সম্পদের উন্নতি ও দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে হবে। এছাড়াও বক্তব্যে তিনি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতের স্মরন করেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মাহমুদুর রহমান বলেন, ভালো সৈনিক হতে হলে যেমন অস্ত্র চালানোর দক্ষতা থাকা জরুরি ঠিক তেমনি একজন ভাল ভেটেরিনারিয়ান হতে হলে তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি ব্যাবহারের দক্ষতা অর্জন করাও জরুরী। আশা রাখি আজকের এই আয়োজন আমাদের সেই দক্ষতা অর্জনের পথ কে সুগম করবে। এছাড়া তিনি বক্তব্যে ভেটেরিনারিদের ইন্টার্নভাতা বৃদ্ধির দাবি জানান।
সার্জারি ও থেরিওজেনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ এমদাদুল হক, রেজিস্ট্রার (অ. দা.) অধ্যাপক ডা. আতাউর রহমান। এছাড়াও সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক মারুফাতুজ্জাহান, স্কয়ার ও একমি ফার্মাসিউটিক্যালসের এরিয়া ম্যানেজারসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সার্জারি ও থেরিওজেনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান বলেন, একটি মাত্র কিটবক্স তোমাদের ভালো ডাক্তার বানাবে না। একজন ভালো ভেটেরিনারিয়ান হতে হলে নিজেকে এই সেক্টরে ডেভেলপ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, মেডিকেলের ইন্টার্ন ও ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপে বৈষম্য এখনো রয়ে গেছে। যেখানে মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের মধ্যে ইন্টার্নশিপ করছে সেখানে ভেটেরিনারিয়ানদের ক্যাম্পাসের বাইরে ইন্টার্নশিপ করতে হয়। যেটি খুব কষ্টকর এবং মেডিকেলের ইন্টার্নদের ভাতা ২২ হাজার হলে ভেটেরিনারিয়ানদের সেটি ৪৪ হাজার হওয়া উচিত। অথচ সেখানে আমাদের ছাত্ররা ৯ হাজার পাচ্ছে। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করলে এই বৈষম্য সমাধান করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, ছাত্রদের সার্জারি শিখার ও অনুশীলনের কথা বিবেচনায় প্রতিবছর ভেটেরিনারি অনুষদের সার্জারি ও থেরিওজেনোলজি বিভাগের উদ্যোগে ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্জিক্যাল কিট বক্স বিতরণ করা হয়।
এসএস/
মন্তব্য করুন