গবি প্রতিনিধি: গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি) ‘দাও চিত্ত অনিরুদ্ধ, দাও শুদ্ধ জ্ঞান, হে সর্বশক্তিমান’ স্লোগানকে ধারণ করে ‘সাংস্কৃতিক বিপ্লব’ শিরোনামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় গবির একাডেমিক ভবন সংলগ্ন ট্রান্সপোর্ট চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আবুল হোসেন অনুষ্ঠানটির উদ্বোধনী ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজক জিবিএমসির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আলাফ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি তা উদযাপনের জন্য এই আয়োজন। আমি অনেক খুশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অফিসার এবং আবৃত্তি প্রশিক্ষক মো: এনামুল হক বলেন, এদেশে একাত্তরে যে বিপ্লব হয়েছে সেটা ছিল সশস্ত্র বিপ্লব, সাংস্কৃতিক বিপ্লব হয়নি সাংস্কৃতিক বিপ্লব হওয়া উচিত বলেই মনে করি। ২৪ এর যে আন্দোলন ছাত্র জনতার আন্দোলন সে আন্দোলনের পরে আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা মনে করছেন সাংস্কৃতিক বিপ্লব হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে আমাদের কিছু কথা আছে দ্বিমত আছে, সব উপাদান বাঙালি সংস্কৃতির নয় যেমন কাওয়লি একটি, তবুও শুরু হোক সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কর্মকান্ড।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আবু মুহাম্মাদ মুকাম্মেল জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজমান ছিলো তা এমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অবসান হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় তার আগের রুপে ফিরে আসছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদের শিক্ষিক-শিক্ষার্থী এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী নাসিম ও ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মঞ্জুরা আক্তারের সঞ্চালনায় পুরো আয়োজন জুড়ে ছিলো বাউল গীতি,নজরুল গীতি, দেশাত্মবোধক গান, আধুনিক গান, কবিতা, নৃত্য এবং সাথে ছিলো অনুষ্ঠানটির প্রধান আকর্ষণ ‘গণ বিশ্বিবদ্যালয় মিউজিক ক্লাব (জিবিএমসি)’ ও ব্যান্ডদল ‘স্বরূপ’ এর পরিবেশনা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনার দ্বায়িত্ব পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এএকে /
মন্তব্য করুন