বাকৃবি প্রতিনিধি: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের আদেশক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব (সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) মোছা. রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১ এর ১০ (১) ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম, ফার্মাকোলজি বিভাগ, বাকৃবি, ময়মনসিংহ-কে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, উপাচার্য হিসেবে তার নিয়োগের মেয়াদ যোগদানের তারিখ হতে ০৪ (চার) বছর হবে। উপাচার্য পদে কর্মরত থাকাকালীন তিনি বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতা পাবেন। তিনি উপাচার্য পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজনে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম ১৯৯৪ সালে বাকৃবি ভেটেরিনারি অনুষদ থেকে ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) পাস করেন, ১৯৯৮ সালে ফার্মাকোলজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। পরবর্তীতে ২০১১ সালে জাপানের কাগাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি এবং জাপানের কাগাওয়া মেডিক্যাল বিশবিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং নিউরোলজি বিভাগ থেকে পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবনে তিনি ২০০২ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০০৪ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০১১ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৬ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান।
অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম ১৯৯৯ সালে আচার্য স্বর্ণ পদক, ২০১১ সালে জাপানের কাগওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রপতি পদক, ২০২৩ সালে বাউরেস থেকে গ্লোবাল রিসার্চ ইমপ্যাক্ট রিকগনিশন অ্যাওয়ার্ড-২০২৩, জাপানে আন্তর্জাতিক অ্যালডোস্টেরন ফোরাম থেকে আইএএএফ অ্যাওয়ার্ডে প্রথম স্থান অর্জনসহ নানা পদক ও পুরস্কার অর্জন করেন।
অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ ও কনফারেন্সে যোগদান করে গবেষণালব্ধ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। রিসার্চগেটের তথ্যমতে উচ্চমাত্রার সূচকের জাতীয় বা আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত তার রিসার্চ আর্টিকেলের মোট সংখ্যা ১২৪ টিরও বেশি। গুগোল স্কলার্সের তথ্য মতে সাইটেশন সংখ্যা ২ হাজার ২০০,এইচ-ইনডেক্স সংখ্যা ২৫, আই১০-ইনডেক্স সংখ্যা ৫৯।
এসএস/
মন্তব্য করুন