জাককানইবি প্রতিনিধি: স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনার পতনের পর দেশব্যাপী ফুটে উঠেছে নানান অনিয়ম আর দুর্নীতি। স্বৈরাচারী সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাংবাদিকতার পরিচয়ে এলাকাজুড়ে চাঁদাবাজি এবং শিক্ষার্থী হয়রানির অভিযোগ উঠেছে দেশের স্বনামধন্য টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলার জয়পুরহাট প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম রফিকের নামে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায় ২০১৮ সালে জয়পুরহাট জেলা পরিষদের জায়গা এই যারা দেওয়ার কথা বলে জোর করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় এবং পরবর্তীতে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবি করে ঐ সাংবাদিক এই মর্মে জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন একই উপজেলার বাসিন্দা জুয়েল ইসলাম।
জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি থাকা অবস্থায় রফিকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ,নারি কেলেঙ্কারি, একক স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেন অনেক সাংবাদিক। সাংবাদিক রেজাউল করিম রেজা তার বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি ও ছিনতাইয়ের এবং গোলাপ হোসেন সাংবাদিক রফিকের বিরুদ্ধে মারধর ও হত্যার হুমকির অডিও রেকর্ড নিয়ে অভিযোগে করেছিলেন জয়পুরহাট থানায়।
আক্কেলপুরের জাইদুল ও মজিদ সাংবাদিক রফিকের বিরুদ্ধে মারধর ও হত্যার হুমকি এবং জোরপূর্বক অপহরণ করার চেষ্টার অভিযোগ এনে জয়পুরহাট থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এই ঘটনা সংক্রান্ত একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেন ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মহিদুল ইসলাম মহি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুঠোফোন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে হত্যার হুমকি ও দেন সাংবাদিক রফিকসহ তার অনুসারীরা।
এ বিষয়ে মহিদুল বলেন, আমার এলাকার আওয়ামীলাগের প্রভাবশালী সাংবাদিক রফিক আমার প্রতিবেশীর দ্বারা মিথ্যা চাদাবাজির মামলা করায় আমার নামে এবং মামলা তুলে নিতে হলে দুই লাখ টাকা দাবি করে। মামলার এজাহারে লিখে যে, আমাকে চাঁদা না দিলে জমির ধান কাটতে দিব না। মামলার ঘটনা দিয়েছে সকাল ৮টায় অথচ ঘটনার আগের দিনে আমি ময়মনসিংহে অবস্থিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছিলাম। উক্ত মামলাটি পুলিশ তদন্ত করে সত্যতা না পেয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রদান করে। এই মামলার কারণে আমি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। কারণ এর আগে আমি কখনোই মামলার আসামি হই নাই এবং আমার মা-বাবা বেঁচে না থাকায় আমি ঈদ ছাড়া গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাটে যাই না। গত ৮ ই অক্টোবর এই সাংবাদিকের পূর্বের অপকর্মের বিভিন্ন পোস্ট ফেসবুকে ছিল এবং আমি সেগুলো আমাদের এলাকার স্থানীয় ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার দিয়েছিলাম। এরপর থেকেই ফেসবুকের কমেন্টে প্রকাশ্যে ও মেসেঞ্জারে বিভিন্ন আইডি থেকে আমাকে গালিগালাজ করে এবং মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছে। এতে আমি নিরাপত্তাজনীত শঙ্কায় আছি। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে আমি ত্রিশাল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর আহাম্মদ বলেন, আমার কাছে এবিষয়ে একটি অভিযোগ এসেছে আমরা সেটা কোর্টে জমা দিবো। এরপর কোর্টের মাধ্যমে তদন্ত করা হবে। পরবর্তীতে তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য যে সম্প্রীতি ঘটে যাওয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং হত্যার ৫ টি মামলা করা হয় জয়পুরহাট থানায়। উক্ত মামলা গুলোতে এজাহার ভুক্ত আসামি এটিএন নিউজের রিপোর্টার রফিকুল ইসলাম রফিক। এছাড়াও ক্ষমতাসীন আওয়ামী সরকারের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে এলাকাজুড়ে চাঁদাবাজি,দূর্নীতি, হত্যা হুমকি সহ তার নামে রয়েছে একাধিক অভিযোগ।
এসএস/
মন্তব্য করুন