জাককানইবি প্রতিনিধি:
খেলাধুলা শিক্ষার্থীদের মাদকাসক্তি থেকে দূরীকরণ এবং শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু দীর্ঘ দিন যাবৎ মাঠ সংষ্কার এবং পরিশেষে ত্রুটিপূর্ণ মাঠ সংষ্কারের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠে দীর্ঘ সময় ধরে খেলতে পারছেনা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে দেখা যায় একমাত্র কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের বেহাল অবস্থা, সামান্য বৃষ্টিতে তৈরি হয় জলবদ্ধতা এবং শুষ্ক মৌসুমে বালুর কারণে অনুশীলনে গিয়ে আহত হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী। এছাড়াও স্পোর্টস ক্যালেন্ডার অনুযায়ী খেলার আয়োজন না হওয়ায় নিজেদের ক্ষোভ ঝাড়েন অনেক শিক্ষার্থী। এ নিয়ে শারীরিক শিক্ষা বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি নির্ধারকদের দায়ী করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক জিয়াউদ্দিন মণ্ডল বলেন, মাঠের বিষয়টি পুরোপুরি বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা প্রকল্পের দায়িত্বে আছেন তাদের ব্যর্থতা। প্রশাসন আমাদেরকে খেলার জন্য মাঠ সহ যা কিছু দরকার সরবরাহ করবে তাহলেই আমরা নিয়মিত খেলার আয়োজন করতে পারবো। খেলার আয়োজন এবং পর্যাপ্ত সামগ্রী ক্রয়ের জন্য বাজেটের স্বল্পতার কথাও বলেন তিনি। এছাড়াও তিনি বলেন, আগামী মাসের ১ম সপ্তাহের দিকে আমরা ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্বরণে একটি টূর্ণামেন্টের আয়োজন করা হবে।
নিয়মিত খেলা আয়োজনের বিষয়ে শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবির বলেন, বিগত প্রশাসনের সময়ে আমাদের একটা স্পোর্টস ক্যালেন্ডার ছিল এখন নতুন প্রশাসন আসার ফলে সেটি বাতিল হয়ে গেছে। শীঘ্রই মাঠে টূর্ণামেন্ট আয়োজনের বিষয়ে ছাত্র শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে এবং খুব তাড়াতাড়ি আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবো যার সভাপতি হিসেবে থাকবেন বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম।
শারীরিক শিক্ষা বিভাগের তথ্যসূত্র হতে জানা যায় মাঠ সংষ্কারের সময় বিট বালু (৭০ ভাগ মাটি এবং ৩০ ভাগ বালু মিশ্রিত) দিয়ে মাঠ ভরাট করার কথা থাকলেও প্রকল্প পরিচালক সেখানে বিট বালুর পরিবর্তে অধিকাংশ বালু দিয়ে ভরাট করেন। এতে খেলতে গিয়ে প্রায়শই আহত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ত্রুটিপূর্ণ মাঠে খেলার সময় শিক্ষার্থীদের আহত হওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে শারীরিক শিক্ষা বিভাগ দোষারোপ করছেন প্রকল্প পরিচালকদের উপর ।
দীর্ঘ সময় ধরে সংষ্কার কাজ করার পরও মাঠের বেহাল দশার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী জোবায়ের হোসেন এর কাছে জানতে চাওয়া হলে এ বিষয়ে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।
তবে তিনি মাঠের পানি নিষ্কাশনের বিষয়ে বলেন, মাঠের চারপাশে পানি নিষ্কাশনের জন্য আমরা ড্রেন বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী ১০/১৫ দিনের ভিতর আমরা এ নিয়ে একটা টেন্ডার আহ্বান করবো। ড্রেনেজ ব্যবস্থা হয়ে গেলে মাঠে আর কোন পানি জমবে না।
মাঠ সংষ্কার কাজ শুরু হলে মাঠে আবারও খেলা বন্ধ থাকবে কিনা এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জোবায়ের হোসেন বলেন, মাঠ সংষ্কার কাজ যেহেতু মাঠের ড্রেন গুলো মাঠের ধার ঘেঁষে হবে সেহেতু কাজ চল্লেও এতে খেলার খেলার কোন বাধাগ্রস্ত হবে না।
এএকে/
মন্তব্য করুন