জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে ‘জাহাঙ্গীরনগর সংস্কার আন্দোলন’। একই সাথে দ্রুত নির্বাচন কমিশন গঠন করে জাকসু কার্যকর করার দাবিও জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সংগঠনটির মুখপাত্র নাজিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতি বার্তায় আহবায়ক ইয়াহিয়া জিসান এবং সদস্য সচিব আবু বকর আলী এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতীয়ভাবে নিষিদ্ধ নয় এমন সকল ছাত্রসংগঠনের উন্মুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে এবং ক্যাম্পাসে সকল সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। একই সাথে সকল ধরণের লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে। হল দখল, রুম দখল, রাজনৈতিক ব্লক তৈরী, টেন্ডারবাজির মতো অপরাজনৈতিক চর্চা চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট বিরুদ্ধ কাজ বলে এর বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, নিজস্ব রাজনৈতিক সংস্কারের মধ্যে দিয়ে ২৪’র গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ধারণ এবং শহিদদের আকাঙ্খাকে ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে জাহাঙ্গীরনগরের সার্বিক মানোন্নয়ন ও এর পুনর্গঠনে সকল স্টেকহোল্ডারকে এগিয়ে আসতে হবে।
এছাড়া, দ্রুততম সময়ে হল সংসদ এবং বিভাগীয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনও প্রশাসন আয়োজন করবে বলে নেতৃবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সকল ধরণের দলান্ধতা, ধর্মান্ধতা, ব্যাক্তিকেন্দ্রিক মানসিকতা পরিহার করে গণের আকাঙ্খাকে ধারণ করে মেরিটোক্রেসিকে প্রাধান্য দিয়ে মুক্তমনা প্রো-বাংলাদেশ কেন্দ্রিক ছাত্র-রাজনীতি গড়ে তুলতে হবে। এমন এক নতুন ক্যাম্পাস নিয়ে ভাবতে হবে, যেখানে কোনো ফ্যাসিবাদি মনন থাকবে না। আমরা এমন ক্যাম্পাস চাই, যেখানে কোনো দমন-পীড়ন প্রশ্রয় পাবেনা। আদর্শকে আদর্শ দিয়ে মোকাবিলাকে প্রায়োরিটি দেওয়া হবে।
ছাত্ররাজনীতি প্রশ্নে নেতৃবৃন্দ বলেন, এর ব্যাপক ইতিবাচক সংস্কার প্রয়োজন। ভবিষ্যতের ছাত্ররাজনীতিতে মত-দ্বিমত হবে, যুক্তির পাথরে সবাই বিক্ষিপ্ত হবে কিন্তু কোন হকিস্টিক কিংবা স্ট্যাম্প থাকবে না। কোনো গেস্টরুম, গণরুম সংস্কৃতি থাকতে পারবে না, একাডেমিক পরিবেশ কেউ বিঘ্নিত করতে পারবে না। গণতান্ত্রিক পরিবেশে ভিন্নমতের প্রতি থাকবে সম্মান কিন্তু কেউ যেন স্বৈরাচারী না হয়ে উঠতে পারে সে ব্যাপারে রাখতে হবে সজাগ ও পূর্ণদৃষ্টি।
এসএস/
মন্তব্য করুন