এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। সোমবার (৪ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক ওয়ালে এ তথ্য জানান তিনি।
নিরাপত্তা চেয়ে থানায় ডিজি করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য।এরপর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ হুমকির বিষয়টি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দেশের বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী, গবেষক, বরেণ্য শিক্ষাবিদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারবর্গের অভিভাবক উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারী আজ (সোমবার) সকাল ১০টায় টেলিফোনের মাধ্যমে হত্যার হুমকি প্রদান করে। তিনি যখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রমের উদ্যোগ গ্রহণ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব বৈষম্য দূরীকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তখনই তাকে এ হুমকি দেওয়া হয়। এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতিরোধ, বিগত সময়ের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের গভর্নিং বডি গঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে উপাচার্য রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন এবং অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন সুফল পেতে শুরু করেছে ঠিক সেই সময় একটি স্বার্থান্বেষী মহল এ সংস্কার ও সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হুমকি ধামকি দিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধের কার্যক্রমকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এই ধরনের হত্যার হুমকির প্রতিবাদে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ দেশের অনেক শিক্ষাবিদ তীব্র নিন্দা জানান।
এর আগে ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আজ সকাল ১০টার দিকে আমাকে দেশে ব্যবহৃত একটি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কারের উদ্দেশ্যে গতকালের সিন্ডিকেটে কিছু অপ্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণই এই হুমকির মূল কারণ বলে মনে হচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে সারা দেশের কলেজগুলোকে নিয়ন্ত্রণের ভিতর নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। দেশের এলোমেলো হয়ে যাওয়া শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নেও ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। দিনরাত মিলে ১৮ ঘণ্টা কাজ চলছে এখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে অনেকের সহজ রোজগারের পথ বন্ধ হতে যাচ্ছে।’
তিনি আরও লেখেন, মাত্র দুইমাসে আমরা প্রায় দুই হাজারের অধিক কলেজে ‘পরিচালনা কমিটি’ সফলভাবে করতে সক্ষম হয়েছি। আমার অফিসের কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী এ কমিটি করতে গিয়ে কারো কাছ থেকে এক কাপ চা-ও খায় নাই এটি আমি বিশ্বাস করি। এ ব্যাপারে কোনো প্রমাণ কেউ হাজির করতে পারলে তাকে সরিয়ে দিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।
হত্যার হুমকি দিলেও কোনো লাভ নেই জানিয়ে এই অধ্যাপক লেখেন, ‘অতএব এসব হত্যার হুমকি, পত্রিকায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় বাজে কিচ্ছা কাহিনি লিখে আমার এবং আমার সহকর্মীদের সম্মান নষ্ট করার হুমকি দিয়ে কোনো লাভ হবে না।’
অধ্যাপক আমানুল্লাহ লেখেন, হত্যার হুমকি দেওয়ায় তিনি জিডি করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, ‘হত্যার হুমকি নিয়ে জিডি করছি, সম্মানিত উপদেষ্টাদেরকে বিষয়টি জানিয়েছি, প্রধান উপদেষ্টার সচিবকেও বিষয়টা জানিয়েছি। এজেন্সিগুলোও জানে ব্যাপারটা। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের ৮০ শতাংশই হলো প্রাথমিক শিক্ষা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার। দেখি আমরা এর কোন একটা বিহিত করতে পারি কি না। আপনাদের দোয়া এবং সমর্থন চাই।’
এসএস/
মন্তব্য করুন