আসলামত বেগ: যৌন হয়রানি অভিযোগে শিক্ষকের বহিষ্কার চেয়ে চতুর্থ দিনে গড়ালো চতুর্থ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন। আন্দোলনের চতুর্থ দিনে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে অভিযুক্তদের বহিষ্কার দাবি করেন আন্দোলনকারীরা।
প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক পর্যায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর পরিচালক ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহ। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাকে ‘দালাল’ বলে দুয়োধ্বনি দেন এবং চলে যেতে বলেন।
ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শ দপ্তরের পরিচালক ড. মেহেদী উল্লাহ বলেন, ‘আমি আন্দোলনে বাধে দিতে গেছি তেমনটি নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জুরুরি ভিত্তিতে সার্টিফিকেট ট্রান্সক্রিপ্ট সংক্রান্ত প্রয়োজন ছিলো, এছাড়াও প্রশাসনিক ভবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাপ্তরিক কাজ ছিলো যা এড়ানোর সুযোগ ছিলোনা। এই বিষয়ে আমি শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছি মাত্র’
এসময় আন্দোলনকারীরা শিক্ষক সাজন সাহার পাশাপাশি মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগেরও তদন্তের দাবি জানান।
এর আগে বুধবার তিন সদস্যের ‘উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি’ গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ট্রেজারার ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. আতাউর রহমানকে আহ্বায়ক করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার ও সিন্ডিকেট সদস্য উম্মে সালমা তানজিয়া এবং শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ ও সিন্ডিকেট সদস্য ড. এ কে এম আব্দুর রফিক।
উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ শিক্ষক সাজন সাহার বিরুদ্ধে ফেসবুকে প্রথম হেনস্তার বিষয়টি সামনে আসে। তার বিরুদ্ধে মধ্যরাতে চা পানের নিমন্ত্রণ, অংক বুঝাতে ব্যক্তিগত চেম্বারে ডাকা ও প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় নম্বর কমিয়ে দেওয়া এবং থিসিস রিপোর্ট তৈরিতে হয়রানি করার অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থী।
ছাত্রীদের শাড়ি পরে তার সঙ্গে দেখা করতে বলা, ইনবক্সে ছবি চাওয়া, রিকশা নিয়ে ঘুরতে যাওয়া, ক্যাম্পাসের বাহিরে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার নিমন্ত্রণ, ম্যাসেঞ্জারে অন্তরঙ্গ ভিডিওর লিংক শেয়ার করার মতো নানান অভিযোগ আসে শিক্ষক সাজন সাহার বিরুদ্ধে। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।
এসআই/
মন্তব্য করুন