জবি প্রতিনিধি : গুচ্ছভুক্ত ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পরিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে বিনামূল্যে পানি ও শরবত বিতরণ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আজ শুক্রবার ( ০৩ মে) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় এমন চিত্র দেখা যায়।
জানা যায়,সারাদেশে চলমান তীব্র তাপদাহে বিভিন্ন জায়গা থেকে জবি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা পরিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক কথা চিন্তা করে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয় জানতে চাইলে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ মোর্শেদ হাসান আসিফ জানান, সমাজকর্ম বিভাগ ও সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থীরা, শিক্ষার্থী সম্পর্কিত যেকোন বিষয়েই সব সময় আন্তরিক ও সহযোগিতা মনোভাবাপন্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির শুরু থেকেই দেখেছি এই বিভাগের অনুজরা বরাবর এরকম উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। এবছর ২০২৩-২০২৪ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্যও প্রথম দিনের A ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা থেকেই এই আয়োজন।সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে শিক্ষার্থীরা টিফিনের টাকা জমিয়ে এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। বর্তমান সময়ে তীব্র তাপদাহে জনজীবন কঠিন থেকে কঠিন হচ্ছে। পুরাতন ঢাকার মতো এতো ঘিঞ্জি জায়গায় এটা আরো বেশি কঠিন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও সর্বোচ্চ। হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আগমনে দেশের সবথেকে ব্যস্ত এই জায়গাটা আরো বেশি জনবহুল ও ব্যস্ত হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা এবং অভিভাবকরা যেন একটু তৃপ্তির ঢেঁকুর গ্রহণ করতে পারে এজন্যই আমাদের এই ক্ষুদ্র আয়োজন। আমরা সবাই স্ব স্ব জায়গা থেকে এগিয়ে আসলে আমরা যেকোন প্রতিকূল পরিস্থিতি সহজেই মোকাবিলা করতে পারবো। আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই আমার এই আয়োজনে কষ্ট, পরিশ্রম ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করার জন্য বিভাগের প্রিয় শিক্ষার্থী ভাই-বোন ও বন্ধুদের।
এছাড়াও অর্থনীতি বিভাগের ১৭ তম আবর্তনের এক শিক্ষার্থী বলেন,আমি গত কয়েকদিন আগে পুরান ঢাকার নবাব বাড়ি পুকুর থেকে গোসল করে বাসায় ফিরার সময় তীব্র গরমের মধ্যে পথে ২ গ্লাস ফ্রি শরবত খেয়েছি।আমার তখনই বিষয়টি অনেক ভালো লেগেছে।আর সেখান থেকেই উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা জবির অর্থনীতি বিভাগের ১৭ তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের একাংশ মিলে আজকে এই তাপদাহের মধ্যে যাতে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে একটু স্বস্তি দিতে পারি তাই এই বিনামূল্যে শরবত বিতরণের আয়োজন করেছি।আমরা এখন পর্যন্ত প্রায় ২ শতাধিক মানুষের মাঝে শরবত বিতরণ করেছি।ইনশাআল্লাহ, সামনে আমরা ১০০০ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে শরবত বিতরণের চেষ্টা করবো।
এএকে /
মন্তব্য করুন