বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ছাত্রীদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও শেখ রেহেনা হল পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। ছাত্রীদের দুই হলে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় আর্বজনা পড়ে রয়েছে যত্রতত্র এবং এসব আর্বজনা থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। বিশেষ করে শেখ রেহানা হলের অভ্যন্তরে আর্বজনা জমে থাকতে দেখা গিয়েছে। যা থেকে হলের অভ্যন্তরে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।
শিক্ষার্থীরা জানান, ‘তাদের হলে রয়েছে নানা রকম জটিলতা। ময়লা-আর্বর্জনা দুর্গন্ধের পাশাপাশি রয়েছে খাবার পানির সমস্যা। এজন্য তাদের অনেক বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়। বেশিরভাগ সময়ই পানি থাকে না। তার উপর বৃষ্টির সময়ে হলের রাস্তায় পানি জমে যায় এবং হাঁটাচলার মতো অবস্থা থাকে না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেখ রেহানা হলের এক শিক্ষার্থী জানান, ‘হলে নিয়মিত এখন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয় না। দুইদিন পর পর পরিষ্কার করার কথা থাকলেও এখন সপ্তাহে একদিন করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়। যার ফলে নোংরা বাথরুম, বেসিন ব্যবহার করতে হয়। এছাড়া হলের অন্যান্য ময়লা থেকে খুব বাজে দুর্গন্ধ ছড়ায়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের আবাসিক আরেক শিক্ষার্থী জানান, ‘বাথরুমগুলো ব্যবহারের অযোগ্য। ঠিকমতো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না করার জন্য দুর্গন্ধ ছড়ায় ও ব্যবহার অনুপযোগী। এসব কারণে আমাদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হয়।’
এ বিষয়ে শেখ রেহানা হলের প্রভোস্ট সামসুন নাহার পপি বলেন, ‘হলে বিল্ডিং কন্সট্রাকশনের কাজ চলাতে হলগুলো দ্রুত নোংরা হয়ে যাচ্ছে। হলগুলো নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়। তিনি আরও বলেন হলের মেয়েগুলো নিজেরাই ময়লা আর্বজনা ফেলে নিজেরাই হলগুলো অপরিষ্কার করে। ক্লিনারদের আমি বলে দিয়ছি যাতে করে ঠিকমতো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে।’
মেয়েদের হলের এসব সমস্যা নিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট মানসুরা খানম বলেন, ‘ময়লাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্লিনার দেওয়া হয়েছে দু’জন, যার কারণে দু’জনকে হল পরিষ্কার করতে বেশ হিমসিম খেতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘হলগুলোতে ক্লিনারদের অনেক সংকট রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট দপ্তরকে অবগত করেছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করা হলে এসেস্ট অফিসার সৈয়দ আনিসুর সাদেক বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনার সংকট রয়েছে। প্রতিটি হলে দুজন করে ক্লিনার রয়েছে এবং বিজয় দিবস হলে একজন ক্লিনার রয়েছে। আপাতত ক্লিনার নিয়োগ বন্ধ রয়েছে এবং আমরা দ্রুত বিকল্পভাবে চিন্তা করছি ক্লিনার স্বল্পতা পূরণ করার জন্য। এ বিষয় মাননীয় উপাচার্যকে অবগত করব।’
এসআই/
মন্তব্য করুন