রাবি প্রতিনিধি: অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্তৃক জারীকৃত পেনশন-সংক্রান্ত ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তকরণ এবং স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রবর্তনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষকরা। দাবি বাস্তবায়ন না হলে পহেলা জুলাই থেকে লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা করেন তারা।
মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। আর সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক সরকারের সঞ্চালনায় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক হাসনাহেনা বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালে যেমন বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে এখন এই পেনশন স্কিম চাপিয়ে দেওয়া অনেকটা সে রকমই মনে হচ্ছে। আমরা এর থেকে মুক্তি চাই।
রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম শিকদার বলেন, আমরা তো আমেরিকার মতো সুযোগ সুবিধা চাচ্ছি না। আমরা চাই শিক্ষকদের যোগ্য সম্মান দেওয়া হোক। এছাড়া শিক্ষার মান, শিক্ষকদের মান, গবেষণার মান উন্নত করতে হবে। তা যদি না করা হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষক হিসেবে যোগদান করবে না।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত নতুন পেনশন কাঠামো বৈষম্যমূলক। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ এই অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছি। তবে সকল পরীক্ষা এই কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। আমাদের দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ এক প্রজ্ঞাপনে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় নতুন স্কিম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ স্কিমে দেশের ৪শ’র বেশি স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে এ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। তবে এটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বৈষম্য আখ্যা দিয়ে আন্দোলন শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
এর আগে, গত ২৬ মে সর্বজনীন এই পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন, ২৮ মে দুই ঘণ্টা ক্লাস বর্জন করেন তাঁরা।
মন্তব্য করুন