চবি প্রতিনিধি:
সর্বজনীন পেনশন স্কিমসংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আধাবেলা কর্মবিরতি পালন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বৃহস্পতিবার ( ২৭ জুন) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু চত্বরে কর্মবিরতি পালন করে চবি শিক্ষক সমিতি।
গত ১৩ মার্চ সরকার সর্বজনীন পেনশনের প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়, আগামী ১ জুলাই থেকে যেসব শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী চাকরিতে যোগ দেবেন তাদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার জন্য বিদ্যমান অবসর সুবিধা সংক্রান্ত বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে না।
প্রজ্ঞাপনটিকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে সেটি প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রর্বতনের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন আধাবেলা কর্মবিরতি ঘোষণা করে। যাতে সংহতি জানিয়েছে চবি শিক্ষক সমিতি।
এ সময় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সবচেয়ে মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরাই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সুযোগ সুবিধাকে সংকুচিত করা হলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা কখনো এই পেশার দিকে আকৃষ্ট হবে না।
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী বলেন, শিক্ষকদের প্রাপ্য পেনশন থেকে বঞ্চিত করে সার্বজনীন পেনশনের আওতায় নিয়ে আসা একটি গভীর চক্রান্তের ফসল। এই স্কিম চালু হলে আগামীতে মেধাবী শিক্ষকরা এই পেশায় আসতে অনীহা প্রকাশ করবে।
সাবেক সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী বলেন, এক বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই নিয়ম এটি কোনো সভ্য দেশে হতে পারে না। আমরা আইনের দ্বারস্থ হতে চাই না৷ এর আগেই সরকার পদক্ষেপ নিবে এমন প্রত্যাশা রাখি।
ইএইচ/
মন্তব্য করুন