চবি প্রতিনিধি:
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে অনষ্ঠিত হয় এই সমাবেশ।
হাইকোর্টের এই রায়কে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। এসময় ছাত্র সমাবেশে শিক্ষার্থীদের “সারা বাংলা খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে”, “মেধা না কোটা? মেধা- মেধা”, “মেধাবীদের কান্না, আর না, আর না, কোটার বিরুদ্ধে -লড়ায় হবে একসাথে ” প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সমাবেশে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে তাহলে দেশ স্বাধীনের পর আমাদের সাথে কেন কোটা প্রথার বৈষম্য করা হচ্ছে? । তারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আমরাও ৫৬% কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। সরকারি চাকরিতে কোটা কখনোই কাম্য নয়।
আরবি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান বলেন, বৈষম্য দূর করার জন্যই আমাদের ৩০ লক্ষ শহীদ প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বৈষম্য মুক্ত হতে পারেনি। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে ৫৬% কোটা আমরা মেনে নিতে পারি না, আমাদেরকে মেধার ভিত্তিতে চাকরি দিতে হবে।
এ সময় সমাবেশ থেকে চার দফা দাবি পেশ করে শিক্ষার্থীরা-এক. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। দুই. ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। তিন. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। চার. দূর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
ইএইচ/
মন্তব্য করুন