চবি প্রতিনিধি:
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ক্লাস এবং পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।
প্রতিবেদনটি লিখা পর্যন্ত জানা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১৭ টি ব্যাচ তাদের ক্লাস – পরীক্ষা বর্জন করেছে। ব্যাচগুলো হলো : রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ-১ম বর্ষ-স্নাতকোত্তর, সংস্কৃত বিভাগ-৪৬ তম ব্যাচ,অর্থনীতি বিভাগ-৫৭ তম ব্যাচ,লোকপ্রশাসন বিভাগ-৪১ তম ব্যাচ,লোকপ্রশাসন বিভাগ – ৪২ তম ব্যাচ, লোকপ্রশাসন বিভাগ ৪৩ তম ব্যাচ, বাংলা বিভাগ – ৫৮ তম ব্যাচ, ইতিহাস বিভাগ-৫৭ তম ব্যাচ,দর্শন বিভাগ-৫৭ তম ব্যাচ,দর্শন বিভাগ-৫৮ তম ব্যাচ,ইতিহাস বিভাগ-৫৮,
ইতিহাস বিভাগ-৫৬ তম ব্যাচ,ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ – ৩৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাস – পরীক্ষা বর্জন করেছে।
ক্লাস বর্জনকারী বাংলা বিভাগের ৫৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহিম এডুকেশন টাইমসকে বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলন হচ্ছে বৈষম্যের বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। এই কোটা সিস্টেম চালু থাকলে চাকরিতে মেধার মূল্যায়ন কখনো হবে না৷ তাই আমরা আমাদের ক্লাস – পরীক্ষা বর্জন করেছি। যতদিন না আমাদের দাবি না মানা হয় ততদিনে আমরা ক্লাস- পরীক্ষায় ফিরব না।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ৩৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহ আলম বলেন, আমরা সরকারি চাকরিতে কোটার বৈষম্য বিলোপ চাই। সেই দাবিতেই আমরা ক্লাস – পরীক্ষা বর্জনে একাত্মতা পোষণ করেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অটুট থাকব।
লোকপ্রশাসন বিভাগের ৪৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অমিতের রহমান বলেন, আমরা কোটার বৈষম্য চাই না। কোটা দিয়ে কখনো মেধার মূল্যায়ন হয় না। আমাদের দাবি না মানা হলে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।
আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকাল পাঁচটার দিকে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ২নং গেইট সংলগ্ন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এর ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এর আগেও দুই দফায় চট্টগ্রাম – খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
ইএইচ/
মন্তব্য করুন