বেরোবি প্রতিনিধি:
সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোটা পুনর্বহাল রায়ের প্রতিবাদে ও কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছে সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এরই অংশ হিসাবে শুক্রবার (৫ জুলাই) থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, কলা অনুষদ, বাণিজ্য অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদসহ অধিকাংশ অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কার ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে বাংলাদেশের সকল শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ব স্ব বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা একযোগে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ডাক দেন। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব বিভাগের ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এই ডাক দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন” প্লাটফর্মে আগামীকাল কর্মসূচির সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ১২তম ব্যাচ (‘Covid-12′) ইতিহাস ও প্রত্নতত্ব ১৩ ব্যাচ( উদ্দীপ্ত ১৩),সমাজবিজ্ঞান ১৩তম ব্যাচ, দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ ১২তম ব্যাচ সকল রকম ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছে।
আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, ২০১৮ সালে মীমাংসিত একটি বিষয় নতুন করে আবার সামনে আনা হয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্ত মানি না। যতদিন আমাদের দাবি না আদায় হবে ততদিন আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ মিছিল ও ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছেন মূলত ৪ দফা দাবি আদায়ের জন্য। দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; ১৮’ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
ইএইচ/
মন্তব্য করুন