খুবি প্রতিনিধি:
এক দফা দাবিতে খুলনার অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক ছাছিবুনিয়া বিশ্বরোড (ঢাকা-খুলনা) মহাসড়ক অবরোধ করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বর থেকে একটি মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। এরপর গল্লামারি হয়ে মিছিল নিয়ে ছাছিবুনিয়া বিশ্বরোডে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।এসময় বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-খুলনা,খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক।
অবরোধ চলাকালীন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনে শিক্ষার্থী অর্ক মন্ডল বলেন,এ দাবি আমাদের অস্তিত্বের দাবি, অধিকার আদায়ের দাবি। আমরা চাই কোটা প্রথা সংস্কার করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হোক। আমাদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন হোক। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি আপনি আমাদের আবার ক্লাসে ফেরার ব্যবস্থা করুন। দ্রুত কার্যকর সমাধান দিন
কেমিস্ট্রি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম সাকিব বলেন, একটি দেশের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কোটা পদ্ধতির অবশ্যই দরকার আছে। প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং বঞ্চিত শ্রেণি রয়েছে যাদের কোটার প্রয়োজন আছে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও মুক্তিযোদ্ধার তৃতীয় প্রজন্ম পর্যন্ত কোটা বর্ধিতকরণ করা হয়েছে সেটা অত্যন্ত বর্বর এবং বৈষম্যমূলক। তাই আমরা চাই, সরকারি চাকরিতে যে বিভিন্ন মাত্রায় কোটা বৈষম্য রয়েছে সেগুলো সংস্কার করে যৌক্তিক মাত্রায় আনতে হবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কোটা না মেধা/ মেধা মেধা, আমার সোনার বাংলায়/বৈষম্যের ঠাঁই নাই, সারা বাংলায় খবর দে/ কোটা প্রথার কবর দে, জেগেছে রে জেগেছে/ ছাত্র সমাজ জেগেছে, লেগেছে রে লেগেছে/ রক্তে আগুন লেগেছে, পড়েছে রে পড়েছে পেটে লাথি পড়েছে। আঠারোর হাতিয়ার/ গর্জে উঠো আরেকবার, কোটা প্রথা নিপাত যাক/ মেধাবীরা মুক্তি পাক, বৈষম্যের বিরুদ্ধে/ এক হও এক হও, তুমি আমি আমরা/ গড়বো সোনার বাংলা, ছাত্র সমাজ গড়বে দেশ/ মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ,খুবি আসছে/ রাজপথ কাঁপছে, মেধাবীরা আসছে, রাজপথ কাঁপছে ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের আন্দোলন করে। টানা আন্দোলনের জেরে পরিপত্রের মাধ্যমে সরকার সংস্কার না করে পুরো কোটা ব্যবস্থাই বাতিল করে দেয়। সম্প্রতি সেই সিদ্ধান্তে বিরুদ্ধে রিট হলে উচ্চ আদালত সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটার অংশটি বাতিল করে দেয়।
ইএইচ/
মন্তব্য করুন