রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. ওমর ফারুক সরকার বলেছেন, “শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি আদায় না হলে যুগ যুগ ধরে এ আন্দোলন চলবে। শিক্ষকদের এ আন্দোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদার আন্দোলন। নানা প্রশ্ন আসছে, এডমিশন টেস্ট কেন হচ্ছে না? ক্লাস-পরীক্ষা কেন হচ্ছে না? আমরা বলতে চাই, আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার। যতক্ষণ পর্যন্ত দাবি আদায় না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত একজন শিক্ষকও ক্লাসে ফিরবে না; প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করবে না।”
বৃহস্প্রতিবার (১১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডের পাশে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মো. ওমর ফারুক সরকার আরো বলেন, “আমলাদের মধ্যে অনেক দক্ষ লোক যেমন রয়েছে, তেমনি কিছু অদক্ষ লোকও রয়েছে; সেটি ইতোমধ্যেই প্রমাণিত। যারা বিসিএসে প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে আমলা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যয় স্কিমের মতো এমন বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্তইতো নিবে। আজকে পিএসসি যদি দক্ষতার সাথে নিয়োগ প্রদান করতো, সেখানে প্রকৃত মেধাবীরা প্রবেশের সুযোগ পেত; তাহলে আজ এমন সিদ্ধান্ত কখনোই আসতো না; এবং আমাদেরও রাস্তায় নামতে হতো না। তাই আমরা বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে ছিনিমিনি খেলবেন না। অতিদ্রুত শিক্ষকদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করে শিক্ষকদের দাবি মেনে নিন।”
এদিকে, টানা এগারো দিনের মতো চলছে পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির অবস্থান কর্মসূচি। এ সময় প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষক অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
আন্দোলন প্রসঙ্গে রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, “আমরা শিক্ষকদের নিয়ে টানা আন্দোলন করে যাচ্ছি; আগামী দিনেও কঠিন পথগুলো আপনাদের নিয়েই পাড়ি দেব। আমরা প্রত্যয় স্কিম থেকে বের হওয়ার জন্য আন্দোলন শুরু করলেও, আমাদের আন্দোলন দিনদিন স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো প্রবর্তনই আমাদের মূল আন্দোলন। প্রত্যয় স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা শিক্ষকদের সাথে অন্যায়, অপমান ও বঞ্চনা করার সমান; এর মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে চলে আসা আমাদের পেনশন পদ্ধতি বাতিল করতে চাচ্ছে। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা এ আন্দোলন থেকে সরে আসব না। এ আন্দোলনের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হচ্ছে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে।”
এএকে /
মন্তব্য করুন