সিকৃবি সংবাদদাতা: কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের আটজন নেতা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার মাধ্যমে তারা এই ঘোষণা দেন।
বুধবার (৩১ জুলাই) পর্যন্ত আটজনের পদত্যাগের কথা জানা যায়। এরা হলেন- সিকৃবি ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক রেজোয়ান সর্দার সামি, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক তানভীর হাসান ও শাখাওয়াত হোসেন রাজু, উপ-অটিজম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ফারুক হাসান, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশন বিষয়ক সম্পাদক এস এস আলি আশরাফ, উপ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মাসুম রেজা, উপ-মানবসম্পদ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান হাসান আল মুস্তাকিম এবং উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ হৃদয় বাবু।
সিকৃবি ছাত্রলীগের উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন রাজু এক ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ছোট থেকেই নেতৃত্বদানে পটু ছিলাম এবং এরই ধারাবাহিকতায় সিকৃবির প্যানেল ভিত্তিক রাজনীতিতে ভালো একটি অবস্থানে আসি। আমি মোঃ সাখাওয়াত হোসেন রাজু সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্বরত আছি। শিক্ষা, শান্তি, প্রগতির পতাকাবাহী এ ছাত্র সংগঠন আজ টোকাইদের মাধ্যমে কলুষিত। এ সংগঠন হারিয়েছে তার নিজস্ব ছন্দ। আজ নিজেকে এ সংগঠনের একজন পরিচয় দিতে ভীষণ লজ্জা হয় আমার। আমি উপরিউক্ত পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি। তাই আজকের পর থেকে ছাত্রলীগ তথা বাংলাদেশের অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে আমার কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই।
এছাড়াও তিনি আরো লিখেন, সিকৃবির সবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে হলের সিটের ভয়ে আমরা আমাদের বাকস্বাধীনতা বিক্রি করে দিয়েছি এই হলের সিট নিয়েই সারাজীবন আমরা পড়ে থাকি, দেশ ভেসে যাক। শিক্ষাই যদি জাতির মেরুদণ্ড হয় তবে আমি বলবো সিকৃবি আমাদের শিক্ষিত করে তুলতে পারে নাই। বেশি কিছু বলে থাকলে ভুল ত্রুটি মাফ করবেন। আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে আমার ভাইদের রাস্তায় এভাবে শহীদ হতে দেখে।
উপ-অটিজম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ফারুক হাসান ফেসবুক পোস্টে লিখেন, আমি সারা বাংলার ছাত্র সমাজের যৌক্তিক ও ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবির সাথে সম্পূর্ণ একাগ্রতা পোষণ করছি। আমি আমাকে সকল প্রকার ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠন থেকে মুক্ত করলাম এবং অব্যহতি জানালাম। পূর্বের কোনো সংযুক্তি আপনাদের দৃষ্টিগোচর হয়ে থাকলে আমি লজ্জিত এবং ক্ষমা প্রার্থী, আমায় ক্ষমা করবেন। ছাত্রলীগের এই পোস্টটার মাধ্যমে যখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে সঠিকভাবে থাকতে পারিনি, অতএব বাকি জীবন সাধারণ শিক্ষার্থীর পাশে বুক ভরা গর্ব নিয়ে বাঁচবো। ন্যায়ের জন্য বাঁচবে।
উপ-কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মাসুম রেজা লিখেন, আমি সারা বাংলার ছাত্র সমাজের যৌক্তিক ও ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবির সাথে সম্পূর্ণ একাগ্রতা পোষণ করছি। আমি আমাকে সকল প্রকার ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠন থেকে মুক্ত করলাম এবং অব্যহতি জানালাম। পূর্বের কোনো সংযুক্তি আপনাদের দৃষ্টিগোচর হয়ে থাকলে আমি লজ্জিত এবং ক্ষমা প্রার্থী, আমায় ক্ষমা করবেন।
তিনি আরো লেখেন, ছাত্রলীগের এই পোস্টটার মাধ্যমে যখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে সঠিকভাবে থাকতে পারিনি, অতএব বাকি জীবন সাধারণ শিক্ষার্থীর পাশে বুক ভরা গর্ব নিয়ে বাঁচবো । ন্যায়ের জন্য বাঁচবো।
এসআই/
মন্তব্য করুন