মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ ৫ আগষ্ট ২০২৪ মাওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরসহ একাধিক কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের জেরে এই পদত্যাগ ঘটেছে। শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার দাবিতে ভিসিকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছিল, যা ভিসি মেনে নিয়েছেন।
একইসাথে পদত্যাগ করেছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মুছা মিয়া, শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. ইদ্রিস আলী, বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. নুরুল ইসলাম, জাহানারা ইমাম হলের প্রভোস্ট ড. মোসা. নার্গিস আক্তার ,ও শিক্ষার্থী কল্যাণ পরামর্শ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. ফয়জুন নাহার মিম।
পদত্যাগের বিষয়টি জানার জন্য ড. মো. ফরহাদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান পদত্যাগের বিষয়টি সত্য। পদত্যাগের বিষয়ে তিনি জানান শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন তাই তিনি তাদের দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বিস্তারিত মন্তব্য করতে রাজি হননি।
করোনাকালীন সেশন জটের সংকট মোকাবিলায় তিনি একহাত নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রশংসা পেয়েছিলেন। এবং শিক্ষার্থীদের সাথে এক মত বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি গবেষণায় উৎসাহ বাড়াতে ঘোষণা করেছিলেন কেউ নেচার পাবলিকেশনে গবেষণা প্রকাশ করতে পারলে তাকে তার নিজস্ব ফান্ড থেকে পুরষ্কৃত করা হবে। এ বিষয়ে উনার মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি জানান, চেষ্টা করেছি, এখন আমার কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সময়ই হয়তো কথা বলবে। শিক্ষক, কর্মকর্তা, যেসকল স্টুডেন্ট গবেষকণা করেন তারা হয়তো বলতে পারবেন। যেহেতু পদত্যাগ করেছি এ ব্যপারে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না। শিক্ষকরা হয়তো বলতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয় আগায় যাবে ইনশাআল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গল হোক, এর উত্তরোত্তর কল্যাণ কামনা করছি। যেহেতু আমি একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয় ভালো করলে আমার ভালোই লাগবে। পদত্যাগ হলে যদি বিশ্ববিদ্যালয় আরও এগিয়ে যায় তাহলে ঐটা আমার ভালোই লাগবে।
প্রো- ভিসি ড. এ আর এম সুলাইমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ভিসি স্যার মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগ করেছেন শুনলাম। ভিসির অবর্তমানে ক্যাম্পাস কিভাবে চলবে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটা সরকার সিদ্ধান্ত নিবেন।
প্রক্টর ড. মুসা মিয়া বলেন, সংকটকালীন সময়ে ভিসি স্যারের অনুরোধে আমি প্রক্টর। যেহেতু তিনি পদত্যাগ করেছেন তাই আমিও রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগ করেছি। ঐ সময় যে সরকারই থাকুক ভাইস চ্যান্চেলরকে তার কথা মানতে হতো। তিনি আরও বলেন, আমাদের জায়গা থেকে সর্বেচ্চ চেষ্টা করেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে। আমরা চেয়েছি আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেন কোনো সংঘাত না হয়। আমাদের ক্যাম্পাসে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কোনো শিক্ষার্থীকেও যেন হয়রানি না করা হয় সার্বক্ষনিক প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেছি।
১৭ জুলাই রাতে শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে দেওয়ার ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তৎক্ষনাৎ শিক্ষামন্ত্রীর সাথে মিটিং করেছি। শিক্ষামন্ত্রী হল খোলা রাখার বিষয়ে আমাদের কোনো সুযোগ দেননি। ঐসময় যে সরকারই থাকুক তার কথা মানতে হতো। আমাদের অবস্থান থেকে যতটা করার চেষ্টা করেছি।তাদের যাতায়াতের বিষয়টা আমাদের হাতে ছিল ঐটা আমরা চেষ্টা করেছি দিয়ে দেওয়াড জন্য।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা গত সেমিস্টারগুলো খুব দ্রুত শেষ করেছেন। ভিসির অবর্তমানে তারা সেশন জটের সম্মুখীন হবেন কিনা এ দ্বিধায় আছেন। দেশ স্থিতিশীল হবার পর নতুন ভিসি নিয়োগ পর্যন্ত তাদের অ্যাকডেমিক কার্যক্রম নিয়ে শঙ্কা তৈরী হয়েছে।
এসএস
মন্তব্য করুন