চবি প্রতিনিধি: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সফল হওয়ার পর এবার দশ দফা দাবির ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের দশ দফা দাবি হচ্ছে:
১. বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ছাত্র রাজনীতি এবং শিক্ষকদের রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের ভর্তি ফি,পরীক্ষা ফিসহ যাবতীয় আর্থিক লেনদেন সেইসাথে পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনে প্রকাশ করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩. আবাসিক হলগুলোতে অনুষদ ভিত্তিক বরাদ্দ দিতে হবে। কোনো প্রকার রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ চলবে না।
৪. কোনো বিভাগে সেশনজট থাকবে না। প্রতি বছর নভেম্বর মাসের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করতে হবে। চূড়ান্ত পরীক্ষার ৩ সপ্তাহ পূর্বে টিউটোরিয়াল, প্রেজেন্টেশন শেষ করতে হবে এবং ৪ সপ্তাহ পূর্বে পিএল দিতে হবে। মৌখিক (ভাইবা) পরীক্ষা শেষ হবার ৭৫ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।
৫. শাটলে পাওয়ার কার যুক্ত করতে হবে। আমাদের ডেম্যু ট্রেন ফিরিয়ে দিতে হবে/ ট্রেনের সিডিউল বৃদ্ধি করতে হবে।
৬. বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে স্থান দেবার জন্য প্রয়োজনীয় রিসার্চ, পাবলিকেশনস করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ, বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।
৭. চাকসু চালু করে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সমন্বয় ও মেলবন্ধনের সেতু হিসেবে শহরে টিএসসি চালু করতে হবে।
৮. ক্লাসে শিক্ষক যথাসময়ে ঢুকবেন, নির্ধারিত সময়ে ক্লাস শেষ করে চলে যাবেন। কারণবশত ক্লাস নিতে না পারলে রাতের মধ্যে সিআরদেরকে জানিয়ে দিবেন।
৯. ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে বহিরাগতদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষেধ। জিরো পয়েন্ট ও ২ নং গেইটে নিরাপওা জোরদার করতে হবে।
১০. রক্তে অর্জিত স্বাধীনতায় কারও স্বেচ্ছাচারীতা মেনে নেয়া হবে না। প্রতিটি বিভাগে একটি করে অভিযোগ বক্স থাকবে।
এসব দাবির বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মন্তব্য জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী অভিরূপ কান্তি মন্ডল বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সবগুলো দাবি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমার যৌক্তিক মনে হয়েছে। তাছাড়া রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস গড়া আমাদের স্বপ্ন। তাই শিক্ষার্থীদের সকল দাবি পূরণের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘একজন সাধারণ ছাত্র হিসাবে এই দশ দফার সাথে আমি একমত পোষণ করছি। অনেক রাজনৈতিক সংগঠন আছে, যেগুলো সাধারণ ছাত্রদের বাধ্য করে ঐসব সংগঠনের হয়ে কাজ করতে। এক্ষেত্রে অনেক শিক্ষার্থী নিজের মতের বিরুদ্ধে গিয়েও অনেক কিছু করতে হয়। এগুলো ছাড়াও কিছু সুযোগ সুবিধার কথাও এখানে বলা হয়েছে যেগুলো বাস্তবায়ন করলে একজন সাধারণ শিক্ষার্থী অনেকাংশে এগিয়ে যাবে। তাই আমি চাই এ দশ দফা অতিদ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক।’
এসআই/
মন্তব্য করুন