কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ চেয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (৯ আগস্ট) এই বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই পদত্যাগ চাওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’ অংশগ্রহণ করায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ প্রশাসন এবং ছাত্রলীগ কর্তৃক যে অতর্কিত হামলা ও হয়রানি করা হয়, তার প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরব সমর্থন ছিলো। তাই আমরা ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ তিন দিনের মধ্যে ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং প্রক্টোরিয়াল বডির পদত্যাগের দাবী জানাই।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ চেয়েছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন, উপ-উপাচার্জ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির গত সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত। এর মধ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন আওয়ামী পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগে তার পদবী রয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হওয়ায় পর খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য হিসেবে আসেন। এর নেপথ্যে আছে আওয়ামীপন্থীদের সাথে ভালো সম্পর্ক। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দল (আওয়ামীপন্থী) থেকে নির্বাচিত সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এছাড়া শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার বিষয়ে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন।
সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকীও বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী সমর্থক শিক্ষকদের মধ্যে অন্যতম। বিভিন্ন সময় নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা প্রশাসনিক পদে থেকেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন হিসেবে পরিচিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসেইন বলেন, ‘ উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য দুই পদই রাজনৈতিক সিধান্তের উপর ভিত্তি করে দেয়া হয়। এছাড়া স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার আমলে এই পদ তারা পেয়েছেন। আমরা চাচ্ছি না স্বৈরশাসকের পছন্দের কেউ এখানে থাকুক। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ চাওয়া হচ্ছে আরো অনেক আগে থেকে। আন্দোলন অন্য দিকে মোড় নিতে পারে দেখে আমরা তখন এমন কোন দাবি তুলি নাই। কিন্তু এখন শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগের ব্যাপারে। তাই আমরাও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ চাই।
এসএস/
মন্তব্য করুন