বিবিসি বাংলা: একদল শিক্ষার্থীর আন্দোলনের মুখে এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে।
শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, সম্পূর্ণ পরীক্ষা নেয়া ছাড়া এভাবে ফলাফল ঘোষণা করলে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারেই দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষার সর্বস্তরে এমনকি কর্মজীবনে প্রবেশেও জটিলতা তৈরি হবে।
স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল না করে বরং প্রয়োজনে পরীক্ষার্থীদের আরো সময় দেয়া, সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করাসহ নানা ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন শিক্ষকরা।
একইসাথে সামগ্রিকভাবে সব শিক্ষার্থীর জন্য পরীক্ষা বাতিল না করে, বিশেষ করে যেসব পরীক্ষার্থী আন্দোলনের সময় গুরুতর অসুস্থ বা চিকিৎসাধীন রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এ বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে মনে করছেন শিক্ষা গবেষকরা।
এদিকে, পরীক্ষার ফলাফল কিভাবে দেয়া হবে সে বিষয়ে সব শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের সাথে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
শিক্ষা উপদেষ্টার সংবাদ সম্মেলন
বুধবার বেলা তিনটায় শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, এইচএসসি’র স্থগিত পরীক্ষার ব্যাপারে আরও সময় নিয়ে বিচার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন।
বুধবার বিকেলে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মি. মাহমুদ বলেন, “দেশে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১২-১৩ লাখ, সচিবালয়ে যারা এসেছিলো তাদের মতামতই সবার মতামত কি না তা যাচাই করার সুযোগ নেই”।
তবে, দেশের পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক নয়, সব কেন্দ্র পরীক্ষা নেয়ার উপযোগী নয় এবং প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা রক্ষার চ্যালেঞ্জকেও বিবেচনায় নিতে হচ্ছে বলে জানান মি. মাহমুদ। এছাড়া সচিবালয়ের ভেতরে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের ঢুকে পড়াটাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পরীক্ষা বাতিলের দাবি কিছু পরীক্ষার্থীর
স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলের দাবীতে মঙ্গলবার প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ করে। তাদের দাবি ছিল যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে তার ভিত্তিতে এবং স্থগিত বিষয়ের পরীক্ষা এসএসসির সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে ম্যাপিং করে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা।
শিক্ষার্থীদের সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদও কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করলেও এক পর্যায়ে তারা সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে উঠে অবস্থান নেন। পরে একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলের ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণবশত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে ফলাফল কিভাবে দেয়া হবে সে বিষয়টি উল্লেখ করা হয় নি। কিন্তু মঙ্গলবারই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল সব বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের সাথে বৈঠকের পর ফলাফলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ। গত ৩০শে জুন থেকে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সাত বিষয়ের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পরিণত হয়।
এমন পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। বাকি ছিলো আরো ছয় বিষয়ের পরীক্ষা। এছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষাও হয় নি।
গত ৫ই অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ১১ই অগাস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে এ সিদ্ধান্তও পরিবর্তন করা হয়।
মঙ্গলবারই আরো প্রায় বিশ দিনের বেশি সময় দিয়ে ১১ই সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসাথে সকালের বৈঠকে অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছিলো।
কিন্তু এ সিদ্ধান্তের পরই মঙ্গলবার দুপুরে বেশ কিছু শিক্ষার্থী এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। তারা জানায় অনেক পরীক্ষার্থী আহতাবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া মানসিকভাবেও তারা পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত নন। পরে স্থগিত পরীক্ষা বাতিলের ওই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের
পরীক্ষা বাতিল করে ফলাফল ঘোষণার এ সিদ্ধান্তে পরীক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ দ্বিমত পোষণ করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এভাবে অটো পাশের বিষয়টিতে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফাতিমা আমিন ফেসবুকে নিজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ের কথা তুলে ধরে এ সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, “কিছুক্ষণ আগে ফোন করে ভীষণ কাঁদলো মেয়েটা। পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। ভীষণ খেটেছিলো এবার। ওর বন্ধুরা নাকি খুব খুশি। ওরা বুঝতে পারছে না কী ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে তারা।”
একই সাথে এভাবে পরীক্ষা না নিয়ে ফলাফল ঘোষণা করলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবনে নানা ধরনের জটিলতার মুখোমুখি হতে হবে লিখছেন অনেক অভিভাবকই।
চট্টগ্রাম বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার্থী লুবনা শবনম বিবিসি বাংলাকে বলেন, “আমার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল আশানুরূপ ছিল না। সেজন্য এইচএসসি পরীক্ষা যাতে ভালো হয় খুব মনোযোগ দিয়ে এবার পড়াশোনা করেছিলাম”।
“যে পরীক্ষাগুলো হয়েছে সেগুলো ভালো দিয়েছি। বাকিগুলোরও প্রিপারেশন ভালো। যদি এই পরীক্ষার ফল ভালো না হয় তবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় পিছিয়ে যাবো। এখন এই সিদ্ধান্তে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেয়াটাই কঠিন হবে” বলে জানান মিজ শবনম।
মিজ শবনম জানান তার তিন জন বন্ধু উচ্চ মাধ্যমিকের পর বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু এখন তারাও শঙ্কায় আছেন ফলাফল কিভাবে হবে এবং তা বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গ্রহণ করবে কিনা?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক এবং যুক্তরাষ্ট্রের বার্ড কলেজের শিক্ষক ফাহমিদুল হক ফেসবুকে এই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত বাতিল করার আহবান জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
আবার কেউ কেউ লিখছেন গণহারে জিপিএ -৫ এর কারণে অনেক জিপিএ -৫ পাওয়া শিক্ষার্থীও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না। কারণ এসএসসি ও এইচএসসির সমন্বিত নম্বরের মাধ্যমে এই ভর্তি পরীক্ষায় পয়েন্ট যুক্ত হয়। সীমিত আসন সংখ্যাও বড় ফ্যাক্টর।
এদিকে, স্থগিত পরীক্ষা বাতিলের এমন সিদ্ধান্তকে মঙ্গলবারই অযৌক্তিক বলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
মঙ্গলবার রাতে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মি. আলম বলেন, “পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক নয়। বিভিন্ন গোষ্ঠী রূপ বদলিয়ে অযৌক্তিক দাবি নিয়ে রাস্তায় আন্দোলনে নামছে। তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। তাদের আন্দোলনের পথ সঠিক নয়। ছাত্র জনতা আন্দোলন করেছে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাবার পর”।
‘দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব’
শিক্ষা গবেষকরা বলছেন, শিক্ষার্থীরা আবেগের দ্বারা পরিচালিত হয়ে এমন দাবি করলেও ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাবের মুখোমুখি হতে হবে তাদের।
আপাতদৃষ্টিতে অনেকেই আন্দোলনে আহতদের প্রতি সহানুভূতির দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের সমর্থন করছে বলে জানান শিক্ষকরা।
তারা বলছেন, যৌক্তিকভাবে চিন্তা করলে শিক্ষার্থীদের অন্তত পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে ফলাফল দেয়া উচিত। একাডেমিক দিক থেকে পরীক্ষা হওয়াটা বাঞ্ছনীয় বলে মনে করছেন শিক্ষকরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “পরীক্ষা ছাড়া অথবা আংশিক পরীক্ষার মাধ্যমে ফলাফল দিলে সেটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদেরই ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের উপরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। উচ্চশিক্ষা অর্জনে, কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে, এমনকি আরো উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের ক্ষেত্রে এই দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে”।
“কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মানের স্কোর থাকে। এ বিষয়গুলোতে পাশ করতে হয়। আবার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার স্কোরও যোগ হয়। এখানে তাৎক্ষণিকভাবেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যাবে তারা” বলেন মি. জিন্নাহ।
পরীক্ষা না দিয়ে পাশ না করার যে চিন্তা সেটাও পরবর্তীতে মনস্তাত্ত্বিকভাবে এই শিক্ষার্থীদের ছোট করবে বলে মনে করেন শিক্ষক ও গবেষকরা।
কারণ পরীক্ষা দিয়ে যারা পাস করেছে তাদের সাথে তুলনা এসব শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। একইসাথে কর্মক্ষেত্রেও এভাবে পাস করা শিক্ষার্থীদের তুলনা করা তাদের মনস্তাত্ত্বিক বেদনার কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন শিক্ষকরা।
মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশে পরীক্ষা দেয়া সম্ভব ছিল না বলে অটোপাস দেয়া হয়। তাদেরকে এ ধরনের বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে হয়েছে বলে জানান মি. জিন্নাহ।
মি.জিন্নাহ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “যৌক্তিকভাবে চিন্তা করলে শিক্ষার্থীদের আরো এক মাস সময় দেয়া যেত। পরীক্ষা পদ্ধতি আরো সংক্ষিপ্ত ও সহজ করে অন্তত পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে ফলাফল দেয়া যেত। আন্দোলনের কারণে ফল কি হবে সেটা পরের বিষয়। কিন্তু একাডেমিক দিক থেকে পরীক্ষা হওয়াটা বাঞ্ছনীয়”।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সময় ২০২০ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না হওয়ায় সবাই অটোপাস করেন। সে সময় এসএসসি, জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে গড় মূল্যায়ন করে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল।
সামগ্রিকভাবে সকল শিক্ষার্থীদের জন্য এই সিদ্ধান্ত না দিয়ে বিশেষ করে যারা আন্দোলনে আহতাবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে এই বিশেষ ব্যবস্থা বিবেচনা করা যেতে পারে বলে মনে করছেন মি. জিন্নাহ।
কিভাবে ফলাফল প্রকাশ করা হবে?
বুধবার দুপুরে প্রত্যেকটি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের বৈঠকে স্থগিত পরীক্ষা বাতিলের পর এখন কিভাবে ফলাফল প্রকাশ করা হবে এ সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। তবে, এখনও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয় নি।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বিবিসি বাংলাকে বলেন, “পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকেরা বসেছিলেন। তারা এখনও চূড়ান্ত করেননি কিভাবে ফল ঘোষণা হবে। তারা চূড়ান্ত করার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য আমরা পাঠাবো। হয়তো আগামী সপ্তাহ নাগাদ এটা চূড়ান্ত করে ফেলবো”।
সাবজেক্ট ম্যাপিং এর মাধ্যমে ফল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এই সাবজেক্ট ম্যাপিং আসলে কি?
এই ম্যাপিং সম্পর্কে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. নিজামুল করিম বিবিসি বাংলাকে বলেন, “পূর্বের যে পরীক্ষা হয়েছে সেগুলোর ফলাফলের অনুপাতে অন্য বিষয়গুলোতে নাম্বার দেবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা স্থগিতের আগে যে সাতটা পরীক্ষা দিয়েছে সেগুলোতে যে নাম্বার পাবে তার গড় হিসাব করে অন্য বিষয়গুলোতে নাম্বার দেয়া হবে। এটাই সাবজেক্ট ম্যাপিং”।
শিক্ষকরা বলছেন, যেসব শিক্ষার্থীরা মেধার জন্য আন্দোলন করেছে তারা পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তে একমত নয়। ফলে এমনভাবে ফলাফল ঘোষণা করতে হবে যাতে এটি কারো জন্য অসুবিধার কারণ না হয়ে দাঁড়ায়।
এসআই/
মন্তব্য করুন