এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যসহ শীর্ষস্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদত্যাগ করেছে। এর ফলে অচল হয়ে পড়তে থাকে এসব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সংকট নিরসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। চিঠিতে বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনদের আলোচনার মাধ্যমে জ্যেষ্ঠ একজন অধ্যাপককে প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব আরোপ করতে। যদিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বড় বড় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
তথ্য মতে, সরকার পতনের পর ৪০টিরও বেশি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রশাসনের র্শীষ ব্যক্তিরা পদত্যাগ করেছেন। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব আরোপ করা সম্ভব হলেও অধ্যাপকহীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সম্ভব হয় দায়িত্ব অর্পণ। সেক্ষেত্রে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনসহ ব্যাহত হচ্ছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সচল রাখতে উপাচার্য নিয়োগ জরুরি হয়ে পড়েছে।
অভিভাবকহীন এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে কবে উপাচার্য নিয়োগ হতে পারে, জানতে চাইলে বুধবার (৯ আগস্ট) শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, দেশে প্রচুর বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হয়েছে। যেসব জেলায় এখনো ভালো স্কুল স্থাপন করা হয়নি সেখানেও বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। আমরা একে একে সবগুলো বিষয় নিয়েই কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগ হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা তৈরি করেছি। পরের সপ্তাহেই তালিকা অনুযায়ী বাকি সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়ন নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, ঢাকার বাইরে ক্যাডেট কলেজ আর জেলা স্কুলগুলো ব্যতীত অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান আশানুরূপ হারে পরিবর্তন হয় নি। আমরা চেষ্টা করছি সবগুলো জেলা নিয়েই কাজ করতে। বিভিন্ন বেসরকারি একাডেমিও আমাদের সাথে কাজ করার প্রস্তাব দিচ্ছে। আশা করছি ভালো ফলাফল আসবে।
এসএস/
মন্তব্য করুন