এডুকেশন টাইমস ডেস্ক:
টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে ৪ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং এ নেমে ২০ ওভারে ১০৯ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
এর আগে, টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১০ জুন (সোমবার) নিজেদের গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে হেরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বোলিংয়ে যায় বাংলাদেশ।
ম্যাচের প্রথম ওভারে তখন ৫ বলে ১১ রান। শেষ বলে তানজিম প্যাভিলিয়নে ফেরালেন হেনড্রিকসকে। তানজিমের পর তাসকিনের তোপের মুখে ২৩ রানে ৪ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে মিলার ও ক্লাসেনের ৭৯ রানের জুটি দক্ষিণ আফ্রিকাকে এগিয়ে নিচ্ছিল ১৩০ রানের কাছাকাছি। কিন্তু তাসকিনের বলে ক্লাসেন আর ১৯তম ওভারে রিশাদের বলে মিলার বোল্ড হওয়াতে দক্ষিণ আফ্রিকা নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে আটকে যায় মাত্র ১১৩ রানে।
ব্যাটিং এ নেমে দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রাবাদার বলে দুই চারের পর আউট হন তানজিদ। তানজিদের উইকেট হারালেও শুরুটা ভালো ছিল। নাজমুল ও লিটন তখনো মাঠে। পাওয়ারপ্লেতে ২৫ রান তুলতে ৪ উইকেট গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। এরপর কাভারে মিলারের হাতে ধরা পড়ে লিটন ফিরে যান ১৩ বলে ৯ রান নিয়ে।
এরপর ব্যাটিং এ কিছু করতে পারলেন না সাকিব। এইডেন মার্করামের ক্যাচে তিনিও ফিরে গেলেন। অষ্টম ওভারে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
এরপর ক্যাচ তুলে দিয়ে মার্করামের হাতে বন্দী হন অধিনায়ক নাজমুলও। ১০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৫০ রানে ৪ উইকেট।
আশার আলো দেখাতে শুরু করে মাহমুদুল্লাহ-হৃদয় জুটি। ১৭ ওভারে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৯৪ রান। ১৭ ওভারের প্রথম বলে ব্যাক্তিগত ৩৪ বলে ৩৭ রান করে রাবাদার বলে গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্তে এলবিডব্লিউ এর শিকার হন তৌহিদ হৃদয়।
৪ বলে তখন দরকার ৭ রান মার্করামের ক্যাচে সৌম্য সরকারের জায়গায় দলে আসা জাকের আলীও ফিরলেন।
২ বলে ৬ রানের প্রয়োজন, সেকেন্ডের জন্য আশা জাগায় মাহমুদউল্লাহর শট। একেবারে সীমানার ওপর সেই শটের ক্যাচ নিয়েছেন এইডেন মার্করাম। শেষ বলে দরকার ৬ রান। স্ট্রাইকে তাসকিন, তিনিও পেলেন ফুল টস। তবে সেটি পারলেন না কাজে লাগাতে। ৪ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হারলো বাংলাদেশ।
স্কোরকার্ড:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১১৩-৬ (২০ ওভার)
ক্লাসেন ৪৬ (৪৪)
ডেভিড মিলার- ২৯ (৩৮)
তানজিম হাসান-৩/১৮
বাংলাদেশ: ১০৯-৭ (২০ ওভার)
তৌহিদ হৃদয়- ৩৭ (৩৪)
মাহমুদুল্লাহ- ২০ (২৭)
কেশব মহারাজ- ৩/২৭
ইএইচ/
মন্তব্য করুন