ডেস্ক রিপোর্ট:
বুধবার (৩ জুলাই) ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে চারটি বিষয়ের মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষার্থীরা বেশ উৎসবমুখর পরিবেশে এতে অংশ নিয়েছেন। তবে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আগের রাতে এ মূল্যায়নের নির্দেশিকা বা প্রশ্নপত্র হাতে পেয়েছে। প্রশ্নপত্রের আলোকে সমাধানও বাসায় বসেই আত্মস্থ করেছেন শিক্ষার্থীরা। স্কুলে গিয়ে উত্তর দিয়ে এসেছে।
প্রথম দিনে ষষ্ঠ শ্রেণিতে বাংলা, সপ্তমে ধর্ম, অষ্টমে জীবন ও জীবিকা এবং নবম শ্রেণিতে ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হয়। এ মূল্যায়নের জন্য যে প্রশ্নপত্র বা নির্দেশিকা শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে, তা পরীক্ষার তিন ঘণ্টা আগে শিক্ষকদের ডাউনলোড করার কথা ছিল।
জানা গেছে, ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র একদিন আগেই শিক্ষকরা হাতে পেয়েছেন। তারা সেই প্রশ্নপত্র ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করেছেন, যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশ্নপত্র পেয়ে যাওয়ায় অনেক প্রাইভেট ও টিউশন শিক্ষক আগের দিনই তার সমাধান করে ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে মূল্যায়নে বসার আগের রাতে কী কাজ করতে হবে, তা শিক্ষার্থীরা আত্মস্থ করে এসেছে।
কেবল ঢাকার বাইরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নয়, রাজধানীর প্রায় সব স্কুলের শিক্ষকরাও আগেই প্রশ্নপত্র পেয়ে গেছেন। তাদের অনেকেই প্রশ্নপত্র ফেসবুকে শেয়ার করেছেন।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এক অনুষ্ঠনে বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি আগে থেকে জানেও যে প্রশ্নপত্র কী হবে। তবুও তাতে কোনো ক্ষতি নেই। এখানে ফাঁস হওয়ার কোনো বিষয় নেই। প্রশ্নফাঁস করলেও সেটার কোনো উপকারিতা নেই। শিক্ষার্থীকে অবশ্যই কার্যক্রমে অংশ নিয়ে পারদর্শিতার স্তর অতিক্রম করতে হবে।
আরএন/
মন্তব্য করুন