এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: সারাদেশে চলমান সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে ছাত্রলীগকে সতর্কভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, ‘কোনো অবস্থায়ই উসকানি দেওয়া যাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও নেত্রী নির্দেশ দিয়ে গেছেন, যেন তাদের পক্ষ থেকেও উসকানি না দেওয়া হয়।’
আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যৌথ সভায় এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
দেশে চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলন ও সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের আন্দোলনে বিএনপির সমর্থনকে দুরভিসন্ধি বলেন ওবায়দুল কাদের। ‘অরাজনৈতিক’ এই আন্দোলনে উসকানি দিয়ে সারা দেশে যাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে, সে ব্যাপারে দলীয় নেতা–কর্মীদের সতর্ক পাহারায় থাকার নির্দেশনা দেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একটা ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা—এটা অবশ্যই রিলেটেড বিষয়, অরাজনৈতিক আন্দোলন, শিক্ষকদের আন্দোলনও অরাজনৈতিক এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনও অরাজনৈতিক। এ অরাজনৈতিক আন্দোলনে বিএনপি ও তাদের সমমনাদের রাজনৈতিক সমর্থন নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। এই অশুভ মহলটি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উসকানি ও ইন্ধন দিয়ে যাতে সারা দেশে বিশৃঙ্খলার আবহ না দিতে পারে, সে জন্য সারা বাংলাদেশে, রাজধানীতে—সর্বত্র সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে। সেটা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি।’
চাকরিতে কোটার বিষয়ে আওয়ামী লীগ কি সরকারের পক্ষে, নাকি আদালতের পক্ষে, এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকার সরকারের পক্ষে, আওয়ামী লীগও সরকারের পক্ষে।’
শিক্ষকদের আন্দোলনের বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সমাধান অচিরেই হয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা শুনেছি, তাঁরা (কোটা আন্দোলনকারী) উচ্চ আদালতের যে মামলা চলছে, তাঁদের পক্ষ থেকে আইনজীবী নিয়োগ করেছেন এবং আদালতে যথাসময়ে হাজির হবেন। এটা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত। এ জন্য ধন্যবাদ জানাই।’
আন্দোলনকারীরা কোটা সংস্কার চান বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘যখন তাঁদের প্রতিনিধি আইনজীবী কোর্টে প্রতিনিধিত্ব করবেন, তাঁদের কথা কোর্ট শুনবেন, সরকারপক্ষের কথাও শুনবেন। সব পক্ষের কথা শুনে দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগ বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নেবেন, এটাই আমরা আশা করি। ওই পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করব।’
এসআই/
মন্তব্য করুন