ডেস্ক রিপোর্ট: কাঙ্ক্ষিত ফল না পেয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ৭৯ হাজার ১৪৮টি উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২১ মে) বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে কি কি বিষয় পুনরায় নিরীক্ষণ করা হবে সে বিষয়টি নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে।
জানা গেছে, পুনঃনিরীক্ষণে একজন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র পুনরায় মূল্যায়ন করা হয় না। আবেদন করা উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়। সেগুলো হলো- উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কি না, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে তোলা হয়েছে কি না এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কি না।
এসব পরীক্ষা করে পুনঃনিরীক্ষণের ফল দেওয়া হয়। এ চারটি জায়গায় কোনো ভুল হলে, তা সংশোধন করে নতুন করে ফল প্রকাশ করা হয়।
গত ১২ মে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন।
প্রকাশিত ফলাফলে কারও কাঙ্ক্ষিত ফল না এলে তাকে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন বা উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ দেয় শিক্ষা বোর্ডগুলো। গত ১৩ মে থেকে এ কার্যক্রম চলে ১৯ মে পর্যন্ত।
বোর্ড সূত্র জানায়, আবেদন করা শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্রগুলো পুনঃনিরীক্ষণ করে ফলাফলে পরিবর্তন এলে তা নতুন করে প্রকাশ করা হবে। তবে ঠিক কবে পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হবে তা এখনো জানানো হয়নি।
গত বছর এসএসসিতে ঢাকা বোর্ডে উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ করে ফেল থেকে পাস করে ১০৪ জন শিক্ষার্থী। আর নতুন করে জিপিএ-৫ পায় ৩৬২ জন। এছাড়া অন্যান্য গ্রেড পরিবর্তন হয় ৩ হাজার ৮৫ জন শিক্ষার্থীর।
আরএন/
মন্তব্য করুন