শাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
আওয়ামী লীগ যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সকল সহযোগী অঙ্গসংগঠনকে বাংলাদেশের মাটিতে নিষিদ্ধ ও রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর অপসারণের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২১ অক্টোবর) রাত ১০টায় মশাল মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর হতে প্রধান ফটকে যায়। পরবর্তীতে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে মিছিল করে প্রধান ফটকে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মশাল মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ফয়সাল হোসেন, সিলেটের সমন্বয়ক গোলাম মর্তুজা সেলিম, শাবিপ্রবির সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম ও নাসিম।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন গত জুলাই ও আগস্ট মাসে বাংলাদেশের আপামর জনতার উপর যে নগ্নতা দেখিয়েছে তা কখনই ক্ষমা করা যায় না। আওয়ামী দু:শাসনের সময়ে বাংলার মানুষের উপর ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরেরা মুজিববাদ কায়েম করতে চেয়েছিল। আমরা বাংলাদেশে আর কোন মুজিববাদ দেখতে চাই না। বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা মণ্ডলিদের কাছে আহ্বান করবো অতিদ্রুত আওয়ামীলিগ ও তার প্রেতাত্মাদের বাংলার মাটিতে নিষিদ্ধ ও স্বৈরাচারের তৈরি রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে হবে। নইলে বাংলার ছাত্র সমাজ আবারো মাঠে নামতে বাধ্য হবে।’’
সিলেটের সমন্বয়ক গোলাম মর্তুজা সেলিম বলেন, “গতকাল রাতে চট্রগ্রামে আওয়ামী লীগের দোসর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে। তারা এই দেশে আবারো মাথাছাড়া দিয়ে উঠার পাঁয়তারা করছে। তাদেরকে বাংলার ছাত্রসমাজ জীবনের বিনিময়ে একবার উৎখাত করেছে। প্রয়োজনে আবারো বাংলার ছাত্রসমাজ এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে আসবে।”
শাবিপ্রবির সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম বলেন, “অবৈধ সরকারের তৈরি রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু গত ৫ আগস্ট বলেছে তার কাছে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছে। সে আজকে আবার বলছে তার কাছে নাকি কোন পদত্যাগ পত্র নেই। আমরা ছাত্রসমাজ অনতিবিলম্বে অবৈধ সরকারের তৈরি রাষ্ট্রপতির অপসারণ চাই।”
শাবিপ্রবির আরেক সমন্বয়ক নাসিম বলেন, স্বৈরাচারের দোসরেরা আবারো জেগে উঠার পাঁয়তারা করছে। আজকে রাষ্ট্রপতি বলছে পলাতক স্বৈরাচারী শতাব্দীর ভয়ংকর ফ্যাসিস্ট হাসিনা নাকি পদত্যাগ পত্র জমা দেয়নি। আমরা বাংলার ছাত্রসমাজ তাদেরকে হুঁশিয়ারি করে বলতে চাই আপনারা যদি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অভিভাবক হয়ে আমলাতান্ত্রিক জায়গা থেকে তাদেরকে পুনর্বাসন করতে চান তাহলে আমরা এমন পদক্ষেপ নিব যাতে বাংলাদেশে আগামী একশ বছর আওয়ামী লীগ নাম নেওয়ার কেউ সাহস না পায়।
এএকে/
মন্তব্য করুন