এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। পতিত স্বৈরাচারী সরকারের সময় পুলিশ প্রশাসনকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহারের পরিণতিতে তাদের মনোবল ভেঙে পড়েছিল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তারা জনরোষের শিকার হয়। তবে বর্তমান সরকার পুলিশ বাহিনীর মনোবল পুনরুদ্ধার এবং তাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে পুনরায় সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে এ ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির বর্ণনা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকেও নির্দিষ্ট নির্বাহী ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। সরকারের মতে, এই সিদ্ধান্ত পরিস্থিতির দ্রুত উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে।
সরকারের নেতৃত্ব ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দকে, যারা তাদের কর্মীদের শান্ত থাকার এবং প্রতিশোধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে জনগণের ধৈর্য্যের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে।’
তিনি আরো জানান, ‘অতীতে ফ্যাসিবাদী শক্তি ভয় দেখিয়েছিল যে তাদের পতনের পর দেশে ব্যাপক সহিংসতা এবং প্রাণহানি ঘটবে। তবে সাত দিন পুলিশ প্রশাসন নিষ্ক্রিয় থাকার পরও বড় ধরনের সহিংসতা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং জনগণের সচেতনতা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’
সরকার প্রধান আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে এই উন্নত পরিস্থিতি ধরে রেখে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সুশাসন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
এসএস/
মন্তব্য করুন