বুটেক্স প্রতিনিধিঃ চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) বর্তমান শিক্ষার্থী ও সাবেক মিলে মামলা ৪ জনের বিরুদ্ধে। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯তম ব্যাচের ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আল ফাহিম, ৫০তম ব্যাচের ইয়ার্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ হাসিবুর রহমান এবং সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ৪১তম ব্যাচের জাহাঙ্গীর আলম শুভ, ৪২তম ব্যাচের ইয়াসিন মামুন।
সরকারি সম্পদ ভাংচুর ও আগুন দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করার অভিযোগে মোঃ হাসিবুর রহমানকে মিরপুর মডেল থানায় মামলা দেওয়া হয়। শুক্রবারে (১৯ জুলাই) সংঘটিত মিরপুর মডেল থানাধীন মিরপুর-১০ নম্বর মেট্রোরেল স্টেশনের জিনিসপত্র ভাংচুর, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন অঞ্চলে অফিস ভবন ও আবর্জনা পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ট্রাক ভাংচুর ও দাহ্য পদার্থ দ্বারা আগুন দেওয়া এবং কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনের সরকারি সম্পত্তি ভাংচুরের অভিযোগে তাকে মামলা দেওয়া হয়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২২ জুলাই) রাতে মিরপুর-২ থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঐদিন তাকে মিরপুর মডেল থানায় রাখা হলেও পরেরদিন (২৩ জুলাই) কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়।
চলমান আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সহিংসতার বিভিন্ন অভিযোগ দেখিয়ে হাতিরঝিল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামির মামলা দেওয়া হয় আল ফাহিমের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে তাকে পুলিশ আটক করে পরদিন মামলা দেওয়া হয়। বর্তমানে কেরানীগঞ্জ কারাগারে আছে।
অভিযুক্ত বুটেক্সের সাবেক দুই শিক্ষার্থী শিক্ষাসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান বন্দি পাঠশালা’র প্রতিষ্ঠাতা। আদাবর থানাধীন শিয়া মসজিদ মোড়ে পাকা রাস্তার উপর ১৯ জুলাইয়ে রাষ্ট্রবিরোধী ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড দেখিয়ে তাদের মামলা দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা হলো: রাষ্ট্রের শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্ন করার লক্ষ্যে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সরকারি সম্পদ ক্ষতি করা, জনমনে আতংক সৃষ্টির লক্ষ্যে রাষ্ট্যের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, যানবাহনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড চালানোসহ নাশকতার পরিকল্পনা করা।
জানা যায়, বুধবার (৩১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে অবস্থিত বন্দি পাঠশালার অফিস হতে জাহাঙ্গীর আলম শুভ এবং নিজ বাসা থেকে ইয়াসিন মামুনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়। পরে তাদের দুইজনকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) নেওয়া হয়।
শুক্রবার (২ আগস্ট) ডিএমপি’র এক উপ-পুলিশ পরিদর্শক ঢাকার মেট্রোপলিটন আদালতের বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন বরাবর সাত দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করা হয়। পরে তাদের কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়।
এসএস
মন্তব্য করুন