নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিশ না থাকায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন না কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।
শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বঙ্গভবন থেকে কমিশনকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত নিরাপত্তা ইস্যুতে সেখানে যাচ্ছেন না প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনাররা।
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত মঙ্গলবার থেকে নির্বাচন কমিশনারদের বাসভবনসহ তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় কোনও পুলিশ সদস্য নিয়োজিত নেই। ফলে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনের জের ধরে সৃষ্ট সহিংসতায় বহু সাধারণ মানুষের প্রাণ যায়। যার জন্য সরকারকে দায়ী করে সরকার পতনের এক দফা দাবি ওঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় অরাজকতা। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা, হত্যা করা হয় পুলিশ সদস্যদের। এ পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ থানা ও কর্মস্থল ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চলে যান পুলিশ সদস্যরা। আইজিপির নির্দেশের পরেও যাদের এখনও ফেরানো যায়নি।
এরই মধ্যে বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথের দিন ঠিক হয়, যার আনুষ্ঠানিক দাওয়াত পান নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা।
নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, “সময়টাতো কারও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই। আমাদের সবারই এক অবস্থা। ওরা (নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্য) পরশুদিন থেকে নেই। বাসায়ও নেই প্রটেকশনেও নেই।”
কোথাও নিরাপত্তা চেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে এই কমিশনার বলেন, “নিরাপত্তা কোথা থেকে চাইব? কে দেবে? কোথা থেকে দেবে? কোনও কিছুই তো নেই। আজকে যদি নিয়ন্ত্রণ হয় একটু।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের একান্ত সচিব রিয়াজ উদ্দিন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “স্যাররা তো দাওয়াত পেয়েছেন। তারা যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের নিরাপত্তায় পুলিশ নেই। শুধু গাড়ি চালক নিয়ে সিইসি স্যার ও আহসান হাবিব স্যার অফিসও করেছেন। কিন্তু পুলিশের নিরাপত্তা না থাকায় স্যারদের যাওয়া হচ্ছে না।”
কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের অধীনে গত ৭ জানুয়ারি দেশে অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যেখানে টানা চতুর্থবারের মতন জয় পেয়ে ক্ষমতায় যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
এসএস/
মন্তব্য করুন