নিউজ ডেস্ক: কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও প্রাণহানি হয়। থানা, ফাঁড়িসহ পুলিশের বেশ কিছু স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগও করা হয়। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর সারা দেশে পুলিশি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে এলে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পুলিশ সদস্যরা তাদের দাবি পেশ করছেন। রাজবাড়ীতেও ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সদস্যরা। পরিস্থিতির জন্য দোষী পুলিশের শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তারা।
গতকাল জেলা পুলিশ লাইন্সে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সে সময় তারা, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’,‘আমার ভাই মরলো কেন, জবাব চাই জবাব চাই,’ ‘পুলিশে সংস্কার এই মুহূর্তে দরকার’, ‘পুলিশ হবে জনতার যদি হয় সংস্কার’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বিক্ষোভে কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও কতিপয় দালালের নির্দেশ পালন করতে গিয়ে আমাদের পুলিশ সদস্যরা ছাত্রদের ওপর গুলি করতে বাধ্য হয়। তাদের নির্দেশ পালন না করলে আমাদের চাকরি খেয়ে নিতো তারা। এই আন্দোলনে আমাদের অনেক পুলিশ সদস্যের ওপর নির্যাতন হয়েছে; যা মধ্যযুগীয় নির্যাতনকে হার মানিয়েছে। আমরা দেশবাসীর শত্রু হতে চাই না। আমরা জনগণের বন্ধু হতে চাই। আমরা তাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের হয়ে কাজ করতে চাই। রাজনৈতিক মন্ত্রী-এমপিদের কাছ থেকে সুবিধা পেয়ে অনেক দালাল পুলিশ অফিসার আমাদের যেমন খুশি যেভাবে ইচ্ছা ব্যবহার করেছে। আমরা আর এসব দলাদলিতে থাকতে চাই না।
এ সময় রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রেজাউল করিম, ডিবির ওসি মো. মনিরুজ্জামান খানা, ডিআইও-১ বিপ্লব দত্ত চৌধুরীসহ জেলা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসএস/
মন্তব্য করুন