ফাহিম রেজা: আজ ৭ মে ২০২৪ জাতীয় প্রকৌশলী দিবস। প্রকৌশলী দিবস বিশ্বের দেশভেদে ভিন্ন ভিন্ন দিনে পালিত হয়। ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব ইঞ্জিনিয়ারিং অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএফইও) প্রস্তাবানুসারে ইউনেস্কো ৪ মার্চকে ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো বিশ্ব প্রকৌশলী দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।
দেশের প্রকৌশলীদের একমাত্র জাতীয় পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এই প্রতিষ্টানটির সাথে জড়িয়ে আছে প্রকৌশলী দিবসের ইতিহাস। দেশ গড়ার দৃঢ় অঙ্গীকার নিয়ে ‘উন্নত জগৎ গঠন করুন’ এই আদর্শকে সামনে রেখে ১৯৪৮ সালের ৭ মে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন যাত্রা শুরু করে।
দেশী প্রকৌশলীদের গর্ব এবং অহংকার এই প্রতিষ্ঠান ১৯৪৮-এ পাকিস্তান সৃষ্টির পর একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান, যার সদর দফতর বাংলাদেশে অর্থাৎ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে বিজয়ের মাত্র ১০ দিনের মধ্যে প্রথম কাউন্সিল সভা অনুষ্ঠিত হয় ২৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সেই সভাতেই ‘ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স পাকিস্তান’ নাম পরিবর্তিত হয়ে ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ নামকরণ করা হয়।
প্রকৌশলীদের এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠার দিনটিই দেশে ইন্জিনিয়ার’স ডে হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশে ২০২৩ সালের এক তথ্য অনুযায়ী বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী রয়েছেন দুই লাখ ২২ হাজার ১৯৬ জন। অর্থাৎ প্রতি এক হাজার জনসাধারণের জন্য ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন ১ দশমিক ৩১ জন।
লেখা: ফাহিম রেজা
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়।
এসআই/
মন্তব্য করুন