মো. সাব্বির হোসেন, হাবিপ্রবি: লিচু শুনলেই মাথায় আসে দিনাজপুরের নাম। সারাদেশে লিচু চাষ হলেও দিনাজপুরের লিচুর কদর আলাদা। দেশের মানুষ দিনাজপুরের লিচুকে প্রাকৃতিক রসগোল্লা হিসেবেও আখ্যায়িত করে থাকেন।
টুকটুকে লাল ও রসালো বিখ্যাত এই লিচু ব্যবসায়ে সফল দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সাইন্স অনুষদের তৃতীয় বর্ষে শিক্ষার্থী মো. নোবেল হোসেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি করছেন এই ব্যবসা।
দেশব্যাপী দিনাজপুরের লিচুর আলাদা একটি খ্যাতি রয়েছে। এই খ্যাতিকে কাজে লাগিয়ে সফল ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি।
তিনি জানান, লিচুর বাগান মিনিমাম তিন বছরের জন্য লিজ নিতে হয়। প্রথম দিকে ইনভেস্টমেন্ট কম থাকার কারণে আমাদের এক বন্ধুর বাগান থেকে আমাদের অর্ডার অনুযায়ী চুক্তি হিসেবে লিচু নেওয়া শুরু করি। এ বাগানের লিচু গত বছর ফ্রান্সে গিয়েছে এবং এ বছরেও স্কয়ার কোম্পানি থেকে স্যাম্পল হিসেবে পাঠানো হয়েছে পাঁচ হাজার লিচু।
তরুণ এই উদ্যোক্তা বলেন, ছাত্র অবস্থায় বাবার সহযোগী হয়ে উদ্যোক্তা হবার স্বপ্ন দীর্ঘদিন থেকেই বুকে লালন করে আসছিলাম। সেই ধারাবাহিকতায় আমার বন্ধু জ্যাক ও আমি অনলাইনে লিচুর ব্যবসা শুরু করি। এলাকার সাথে মিল রেখে ফেসবুকে একটা গ্রুপ তৈরি করি যার নাম ‘লিচু বাহে’।
তিনি আরও বলেন, এত এত সুনাম থাকার পরেও বিভিন্ন সময়ে বাজারে লিচু কিনতে গিয়ে একটা বিষয় আমার দৃষ্টিগোচর হয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী লিচু বিক্রি করার সময় সংখ্যায় কম দেওয়ার পাশাপাশি যারা লিচু সম্পর্কে কম ধারণা রাখেন, তাদেরকে ভালো জাতের লিচু দেয়ার কথা বলে কম দামি কিছু জাতের লিচু দিয়ে চালিয়ে দেয় আর তুলনামূলক দাম বেশি নেয়। আমি নিজেও এই পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছিলাম।
দিনাজপুর জেলা এবং সারা দেশের মানুষকে গুণগত এবং মানসম্মত সুস্বাদু লিচু সহজলভ্য দামে পৌঁছে দেওয়াই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য।
সফলতার কথা বলতে গেলে প্রথম বছরেই লিচুর সিজনে আমরা মোটামুটি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মত আয় করেছিলাম। এ নিয়ে আমরা ৩য় সিজনে পদার্পণ করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, মানুষের কাছ থেকে অনলাইনে এবং অফলাইনে বেশ সাড়া পাচ্ছি। ‘চাল লিচুতে ভরপুর, জেলার নাম দিনাজপুর’ এই স্লোগানের রূপরেখা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে চাই অনেক দূরে।
এসআই/
মন্তব্য করুন