হাবিপ্রবি প্রতিনিধি: হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং (আইআরটি) এর আয়োজনে মাস্টাররোল কর্মচারীদের জন্য ‘অফিসিয়াল কার্যক্রম ও দায়িত্ববোধ’ বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার(১৯ মার্চ) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআরটি কনফারেন্স রুমে উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইআরটি’র পরিচালক প্রফেসর ড. এস. এম. হারুন-উর-রশীদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইআরটি’র সহযোগী পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ সুলতান মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইআরটি এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান উপস্থিত সকলকে পবিত্র রমজান মাস ও স্বাধীনতার মাসের শুভেচ্ছা জানান। তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণকারী সকল শহিদ, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদদের।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুদীর্ঘ ২৪ বছর লড়াই, সংগ্রাম, জেল, জুলুম, ও নির্যাতন সহ্য করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ৪৬৮২ দিন তিনি জেলখানায় কাটিয়েছেন, পরিবারকে বঞ্চিত করেছেন। লক্ষ্য ছিল পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা এবং অনেক ত্যাগের বিনিময়ে সে লক্ষ্য তিনি অর্জন করেছেন। স্বাধীনতার পর তিনি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় ও আন্তজার্তিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জাতির পিতা কে সপরিবারে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এই সোনার বাংলা বিনির্মাণের পথ রুদ্ধ করে, এটি ছিল পৃথিবীর ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন তারই রক্ত ও আদর্শের যোগ্য উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। ৭৭ বছর বয়সেও তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, দেশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করেছেন। আমরা সকলে যেন ভালো থাকতে পারি এজন্য তিনি দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
তিনি আরোও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। এই উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আমাদের সকলকে একাত্মতা পোষণ করে কাজ করে যেতে হবে। আপনাদের যার যার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে।
পরিশেষে এ ধরণের প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য তিনি আইআরটি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এসআই/
মন্তব্য করুন