এডুকেশন টাইমস ডেস্ক: দুই শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করেন হলে থাকা অন্য শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে তাঁদের হলের কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
ওই দুই শিক্ষার্থীর নাম মাশরাফি মাহমুদ ও নাফিস সাদমান। তাঁরা রুয়েটের নগর ও অঞ্চল–পরিকল্পনা বিভাগের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। এর মধ্যে মাশরাফি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগকর্মী বলে শিক্ষার্থীদের দাবি। মাশরাফি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৫৩৭ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯ আগস্ট রুয়েটের চারটি আবাসিক হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সহায়তায় অভিযান চালায়। চারটি হল থেকে মাদকসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ছাত্রলীগ কর্মী মাশরাফির কক্ষেও অভিযান চালিয়ে সেখানে নেশাজাতীয় দ্রব্য পাওয়ায় কক্ষটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর শিক্ষার্থীরা জানতে পারেন, মাশরাফি হলের ৫৩৮ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছেন। তাঁর সঙ্গে একই বিভাগের নাফিস সাদমানও আছেন। এ সময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাঁদের অবরুদ্ধ করে রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালককে ডেকে শাস্তি দাবি করেন। পরে পৌনে ১০টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ওই দুজনকে মতিহার থানায় নিয়ে যায়। মতিহার থানার সামনে রাতে আবার শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন। শিক্ষার্থীরা জানতে পারেন, পুরকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক নাফিস সাদমানকে ছাড়াতে থানায় গিয়েছেন। এ ঘটনায় ওই শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিও জানান অন্য শিক্ষার্থীরা। তাঁরা এই দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কার দাবি করেন।
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলামের মুঠোফোন নম্বরে কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম সরকার বলেন, মাশরাফি নামের শিক্ষার্থীর কক্ষটি সিলগালা করা হয়েছিল। তাঁরা তবুও প্রশাসনকে না জানিয়ে হলে অবস্থান করেন। এটা জানতে পেরে শিক্ষার্থীরা মাশরাফিকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশকে ফোন করলে তাঁরা এসে থানায় নিয়ে যান। রাতে ওই দুই শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবেন না মর্মে থানায় মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন।
এসএস/
মন্তব্য করুন