পাবিপ্রবি প্রতিনিধি: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(পাবিপ্রবি) ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইন্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাইফুল ইসলাম খান রঙ্গনকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। খোজ নিয়ে জানা যায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেহজাদ হাসানের অনুসারী ছিলেন এবং গত মাসের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর রাতারাতি দল পাল্টিয়ে আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ বিরোধী নানান পোস্ট ফেসবুকে শেয়ার করতে থাকেন।
এতদিনে বিষয়টি নজরে না আসলেও গতকাল
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপে (পাবিপ্রবি আমাদের ক্যাম্পাস) তার একটি ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে সিভিল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কটুক্তিপূর্ণ মন্তব্য করায় তাদের সাথে ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর শুরু হয় চরম বিতর্ক।
ফেসবুক পোস্টটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার এক পর্যায়ে বিষয়টি নিজেদের মধ্যে সমাধানের লক্ষে
সোমবার রাত ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে যান ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। তবে এক পর্যায়ে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে।ওই সময় কিছু বহিরাগত লোকজন জানতে পারে সে ছাত্রলীগ কর্মী ছিলো।যার ফলে তারা তার উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং একপর্যায়ে মারধরের ঘটনা ঘটে।
তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রঙ্গন বলেন, “ফেসবুকে একটি পোস্টের মন্তব্য করা নিয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কয়েকজন বন্ধুর সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমরা বিষয়টি মীমাংসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনের যাই। সেখানে গিয়ে তাদের সাথে আলোচনার সময় আবারও কথা-কাটাকাটির সৃষ্টি হয় এবং কিছু বহিরাগত আমার উপর অতর্কিত আক্রমণ করে। যাদেরকে আমি চিনতে পারিনি”।
সিভিল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা মিনারুল ইসলাম বলেন, “রঙ্গনের একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে আমাদের বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কিছু মতানৈক্য হয়। বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য আমরা তাকে নিয়ে প্রধান ফটকের সামনে যাই। কিন্তু আলোচনা চলাকালীন সময়ে কিছু বহিরাগত এসে তাকে অতর্কিত আক্রমণ করে। যে ঘটনার সাথে আমরা কোনোভাবেই জড়িত নই। আমরা ধারণা করছি সেখানে ছাত্রলীগ নিয়ে কথা-কাটাকাটি হওয়াতে বহিরাগতরা সুযোগ নিয়ে এমনটা করেছে”।
এসএস/
মন্তব্য করুন