ইবি প্রতিনিধি: ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক সাবেক শিক্ষার্থীকে মারধর ও ক্যাম্পাস ত্যাগের হুমকির অভিযোগ উঠেছে আইন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এনামুল হক ইমনের বিরুদ্ধে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে আটটায় ইমনের নেতৃত্বে অন্তত ১২ জন শিক্ষার্থী লালন শাহ হলের ৪১৫ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটায়। ভুক্তভোগী মিনহাজুল হক রুমন লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
জানা যায়, তিনি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন।
প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, ৬ মাস আগে লেখাপড়া শেষ হওয়ায় ক্যাম্পাস ছাড়েন রুমন। খুলনায় এক কাজের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসেন তিনি। রুমন তার সাবেক কক্ষে থাকাকালীন ইমন ১০-১২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে হঠাৎ রুমে ঢুকে পড়ে। এসময় রুমে থাকা অন্য দুজনকে আটকে রেখে রুমনকে মারধর করতে থাকে। পরে কালকের মধ্যে হল ছাড়ার হুমকি দিয়ে চলে যায় সে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত এনামুল হক ইমন বলেন, গত দশ এগারো মাস আগে আমাকে মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয় রুমন ভাই৷ তবে সে সময় সে ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় থাকায় আমি বিচার পাইনি। ছাত্রলীগের সভাপতির রুমে আমাকে আর আমার বাবাকে ডেকে হ্যান্ডশেক করিয়ে মিটিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আমি খুবই মর্মাহত হয়েছিলাম৷ এজন্য আমি আর আমার বন্ধুরা মিলে ভাইয়ের রুমে আজ কথা বলতে গিয়েছিলাম। তারপর আমাদেরকে খারাপ ব্যবহার করলে তাকে মারধর করি। আমি তখন বিচার না পেয়েই এই প্রতিশোধ নিয়েছি।
মারধরের বিষয়ে অভিযুক্তের সহপাঠী শ্রাবণ বলেন, গত বছরের ১৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় এলাকায় রুমন ভাই আমার বন্ধুর কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয়। সে তখন ন্যায়বিচার প্রশাসন থেকে পায়নি। তাই আজ তার ডাকে আমরা ছাত্রদলের কয়েকজন পাশে দাঁড়াই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। কিন্তু যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তারা ছাত্রদলের কোনো পদধারী নেতা না। আমাদের বিভিন্ন প্রোগ্রামে তারা আসে। কিন্তু আমরা এমন কাউকে আমাদের দলে যুক্ত করতে চাই না।
এসআই/
মন্তব্য করুন