শাবিপ্রবি প্রতিনিধি: শহীদ আবরার ফাহাদ স্মরণে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে নিন্দা ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতনকারীদের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদ’। পাশাপাশি আবরার ফাহাদের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৌন মিছিল করেন শাবিপ্রবি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদ। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সুরমা আবাসিক এলাকা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে একটি মৌন মিছিল নিয়ে আসেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সসয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাঈম সরকার, রাহাত জামান, নাজমুস সাকিব প্রমুখ।
বাংলাদেশের উপর ভারতের আধিপত্যবাদ রুখে দিতে সবাইকে সোচ্চার থাকতে বলেন আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের নেতারা। সম্প্রতি জুলাই বিপ্লবে নিহত হওয়া শহিদ আবু সাঈদকে নিয়ে কটাক্ষকারী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ফেইসবুক পোস্টের নিন্দা জানিয়ে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান তারা। পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতনকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।
সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আজাদ শিকদার বলেন, আজ ৭ অক্টোবর বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। ভারতের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে আমার ভাই আবরারকে হাসিনার গুন্ডা বাহিনী নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তিনি আরো বলেন, আবরার ফাহাদ আমাদের অনুপ্রেরণা। আগামী দিনগুলোতে ভারতের যেকোনো আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সোচ্চার থাকতে হবে।
পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান মাসরুর বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আমরা নতুন দেশ পেয়েছি। এই নতুন দেশে আমরা আর কোনো গুন্ডা মাস্তান চাই না যাদের হিংস্র হামলার শিকার হবে আবরারের মতো মেধাবী শিক্ষার্থী। তিনি আরো বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমাদের মনে যে স্পিরিট জেগে উঠেছে সেটাকে ধরে রাখতে হবে যেন কোনো সরকার এসে আবার ভারতীয় আগ্রাসনকে প্রশ্রয় না দেয়।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল শাবিপ্রবির দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, রাষ্ট্র ব্যবস্থায় দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এক প্রকার জিম্মি হয়ে পড়েছিল স্বৈরাচারী সরকারের মদদপুষ্ট ছাত্রলীগের কাছে। যেখানে ছাত্ররাজনীতির নামে প্রতিপক্ষকে হত্যা, নির্যাতন, নিপীড়ন ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। দেশের শীর্ষস্থানীয় বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) তার ব্যতিক্রম ছিল না। ছাত্রলীগের অপরাজনীতির বলি হতে হয় বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে, যা ছিল ছাত্রলীগের বিগত ১৫ বছরে ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থী নিপীড়নের একটি উদাহরণ মাত্র। শহিদ আবরার ফাহাদ ছিলেন আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে একটি জাগ্রত কণ্ঠস্বর।’
এসআই/
মন্তব্য করুন