নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: ঢাক-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক শিশুসহ তিন জন। নিহতদের মধ্যে একজন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। এ সময় আহত হয়েছে আরো তিন যাত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দরিরামপুর এলাকায় সিএনজি এবং বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ছাত্র সালমান আজাদী জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন এই তরুণ। নিহত শিক্ষার্থীর বাড়ি বগুড়া জেলায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের একজন শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। আমরা খুবই ব্যথিত। সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে যেখানে যা প্রয়োজন সেই পদক্ষেপ বা সহযোগিতা করা হবে।
ত্রিশাল থানার ওসি (তদন্ত) চাঁদ মিয়া জানান, ‘আজ সকালে এ ঘটনাটি ঘটে। এতে এক শিশুকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত আরো দুইজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায়। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ঘাতক বাসকে আটক করা গেলেও চালক পলাতক রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
জানা যায়, সালমান আজাদীর পরিবার তার ওপর নির্ভরশীল ছিল। পরিবারে বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও দুই বছরের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। সে টিউশন করে মায়ের চিকিৎসাভার বহন করতো। দুর্ঘটনার দিন সকালে তিনি ময়মনসিংহ শহরে একটি ইসলামী সঙ্গীতের ক্লাস করাতে গিয়েছিলেন। ক্লাস শেষে ফেরার পথে মর্মান্তিক এই সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ যায় তার।
মৃতদের মধ্যে অন্যান্যরা হলেন- ময়মনসিংহ বিভাগের ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের রুদ্রগ্রাম এলাকার এনামূল হক শামীমের মেয়ে রুবাইরা তাজনিম, সিএনজির চালক উপজেলার সদর ইউনিয়নের চিকনা মনোহর গ্রামের মৃত আব্দুস ছামাদের ছেলে শরিফুল ইসলাম(৩৩)।
মন্তব্য করুন