এস. ইসলাম: সবার কাছে সুবক্তা ও দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে ডাইনামিক নেতা হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। ব্যক্তি জীবন ও রাজনৈতিক ক্যারিয়ারেও তিনি অন্য সবার থেকে আলাদা। নেই তেমন কোনো বড় বিতর্ক। রাজনৈতিক দক্ষতা, উপযুক্ত শব্দ চয়নে সাবলীল ও যুক্তিপূর্ণ বক্তব্যে নজর কেড়েছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদেরও। হয়েছেন ছাত্রলীগের মতো বৃহৎ ছাত্র সংগঠনের সভাপতি।
সাদ্দাম হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে আইন বিভাগে ভর্তি হন। নিয়ম অনুযায়ী চার বছরে অনার্স ছয় বছরের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও ছাত্রলীগ সভাপতির অনার্স শেষ করতে সময় লেগেছে প্রায় ৯ বছর। ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়ে ২০২০ সালের নভেম্বরে অনার্স শেষ করেন সাদ্দাম হোসেন। ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর বিভাগের পক্ষ থেকে প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী তিনি দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে অনার্স শেষ করেন।
ছয় বছরের মধ্যে চার বছর মেয়াদী অনার্স শেষ করার নিয়ম থাকলেও সাদ্দাম হোসেনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী, ছয় বছরের মধ্যে চার বছর মেয়াদী স্নাতক (অনার্স) শেষ করতে হয়। যদিও এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের ক্ষেত্রে।
জানা যায়, সাদ্দাম হোসেন ২০১১-১২ সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। প্রথম বর্ষ পার হতে তিনি তিন বছর সময় নেন। ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালের প্রথম বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হন। চতুর্থবারের প্রচেষ্টায় ২০১৫ সালে তিনি প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
এরপর ২০১৬ সালের দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা পাস করতে পারেননি সাদ্দাম হোসেন। ২০১৭ সালের ফাইনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
এরপর ২০১৮ সালে তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করেন সাদ্দাম। সেই পরীক্ষায়ও অকৃতকার্য হন সাদ্দাম। সর্বোপরি এই ছাত্রনেতা গত সাত বছরে পাঁচবার ফাইনাল পরীক্ষায় ফেল করেন।
তবে অনুষদের ডিনের বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে সাদ্দাম হোসেন স্নাতক শেষ করেন। স্নাতকে তাঁর ফলাফল প্রকাশিত হলে তিনি ২.৭১ পান বলে জানা যায়।
সুবক্ত হিসেবে পরিচিত এই ছাত্র নেতা ইতোমধ্যে আইন বিষয়ে মাস্টার্স শেষ করেছেন। পেয়েছেন ফার্স্ট ক্লাসও।
২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ২ তারিখে তিনি তার স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে নিজেই জানিয়েছেন।
সে সময় এক ফেসবুক পোস্টে সাদ্দাম জানান, আমার এলএলএম কোর্সের ফল প্রকাশিত হয়েছে। আমি সিজিপিএ ৪ এর মধ্যে ৩.৩৮ পেয়েছি।
(সম্পাদকের নোট: এডুকেশন টাইমস বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বদের বয়স, ছাত্রত্ব ও শিক্ষা জীবন নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবদনে করছে। এই ধারাবাহিকের প্রথম পর্ব এই প্রতিবেদন। আমাদের উদ্দেশ্য কারো কোনো ব্যক্তির সম্মানহানি করা নয়। আমরা দেখাতে চাই দেশের বৃহৎ ছাত্র সংগঠনগুলোসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের ছাত্রত্ব ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি সংযোগ কতটা আছে সেই বিষয়টি তুলে ধরা।– সম্পাদক, এডুকেশন টাইমস)
মন্তব্য করুন