চুয়েট সংবাদদাতা: সমন্বিত তিনটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট, রুয়েট, কুয়েট) স্নাতক ১ম বর্ষের প্রথম দফায় ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়।
ভর্তি কার্যক্রম একযোগে রুয়েট (রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুয়েট (খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও চুয়েটে (চট্রগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) অনুষ্ঠিত হয়। এক্ষেত্রে প্রার্থী যে কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় সে কেন্দ্রেই উপস্থিত হয়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এদিন ‘ক’ গ্রুপে (ইন্জিনিয়ারিং) মেধাতালিকার ১ থেকে ৩৫০০ পর্যন্ত এবং ‘খ’ গ্রুপে (আর্কিটেকচার) মেধাতালিকার ১ থেকে ১২০ পর্যন্ত থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য ডাকা হয়েছে।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা সশরীরে উপস্থিত হয়ে নিরীক্ষা কমিটির কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন। প্রার্থীদের মেধাস্থান এবং পছন্দক্রম অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ নির্ধারণ করা হবে যা ভর্তির দ্বিতীয় দিন সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১০টার মধ্যে ভর্তির জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে দেয়া হবে।
ভর্তিকৃত প্রার্থীর প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ, মোট শূন্য আসন সংখ্যা এবং পরবর্তী ভর্তির জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা আগামী ২ মে’র মধ্যে ওয়েবসাইটে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রথম দিনে মেধাক্রম অনুসারে নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য নিরীক্ষা কমিটির কাছে উপস্থিত হয়ে সনদপত্র যাচাইপূর্বক জমা দিতে হয়। এরপর শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। আগামীকাল সোমবার সকালে প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রাপ্ত বিভাগ দেখে ভর্তির জন্য নির্ধারিত ১৮ হাজার ৫০০ টাকা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশিত ব্যাংকে বিকাল ৩টার মধ্যে জমা দিতে হবে। তবে কোনো প্রার্থী স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর একই দিনে ভর্তি ফি কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে জমা দিতে পারবে।
এ বছর চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) মোট আসন রয়েছে ৯৩১টি। এর মধ্যে ৯২০ সবার জন্য আর ১১টি আসন রয়েছে সংরক্ষিত।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) মোট আসন রয়েছে ১ হাজার ৬৫টি। সবার জন্য উন্মুক্ত আসন সংখ্যা ১০৬০টি এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) সর্বোচ্চ ১ হাজার ২৩৫টি আসন রয়েছে। রুয়েটে সবার জন্য উন্মুক্তি আসন সংখ্যা ১ হাজার ২৩০টি। কুয়েট এবং রুয়েটে সমান সংখ্যক ৫টি করে মোট ১০টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক কমিটির সভাপতি চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৭০ ভাগ শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো দুর্ভোগ হাতে না হয় সেজন্য আমরা দুটি বাসের ব্যবস্থা করেছিলাম এবং শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যার জন্য আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।’
এসআই/
মন্তব্য করুন